Pages

Wednesday 2 July 2014

Asexual Reproduction of Hydra

Reproduction of Hydra
যে জৈবনিক প্রক্রিয়ায় কোন জীব তার একক দেহ থেকে সরাসরি বা পুংগ্যামিট ও স্ত্রীগ্যামিট সৃষ্টি ও তাদেরমিলনের মাধ্যমে নিজেদের অনুরুপ গুনাবলি সম্পন্ন ও উর্বর অপত্য সৃষ্টি করে বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতি রক্ষা করে তাকে প্রজনন বলে।হাইড্রাতে দুই ধরনের প্রজনন লক্ষ কয়া যায়-


গ্যামিট সৃষ্টি ছাড়াই যে প্রক্রিয়ায় জীব তার একক দেহ বা দেহের অংশবিশেষ থকে নিজেদের অনুরুপ অপত্য সৃষ্টিরমাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতি রক্ষা করে তাকে অযৌন প্রজনন বলে।অনুকূল পরিবেশে হাইড্রায় দুই প্রকার প্রজনন দেখা যায়-


১)Budding:

০ এই প্রক্রিয়ার শুরুতে হাইড্রা এর দেহের নিন্মাংশে এপিডার্মিসের কিছু ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ ক্রমাগত বিভাজিত হয়েএকটি স্ফীত অংশের সৃষ্টি করে।
০ ইহা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ফাপা নলাকার মুকুলে পরিনত হয়।এর দেহপ্রাচীর এপিডার্মিস,মেসোগ্লিয়া ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসনিয়ে গঠিত এবং কেন্দ্রস্থলে মাতৃদেহের সিলেন্টেরন প্রবিষ্ট থাকে।
০ মাতৃ হাইড্রা হতে খাদ্য গ্রহন করে মুকুল বৃদ্ধি পেতে থাকে।ফলেমুকুলের শেষ প্রান্তে কর্ষিকা, হাইপোস্টোম এবং মুখছিড্রের আবির্ভাব ঘটে।
০ বর্ধনশিল মুকুলের সিলেন্টেরন মাতৃ হাইড্রা এর সিলেন্টেরনের সাথে যুক্ত থাকে এবং মুকুলের মাধ্যমে মাতৃদেহ থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে ধীরে ধীরে অপত্য হাইড্রায় পরিনত হয়।
০ মুকুলটি পরিপক্ক হলে মুকুল ও মাতৃ হাইড্রার সংযোগস্থলে খাজের সৃষ্টি হয় এবং এই খাজ ক্রমশ উভয় দিক থেকে অনুপ্রবেশের ফলে অপত্য হ্যড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন শুরু করে।
০ অনেক সময় পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক মুকুল সৃষ্টি হয়।আবার কোন কোন সময় শিশু হাইড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে নতুন মুকুল সৃষ্টি করে।
০ ফলে একই সাথে পরপর যুক্ত অবস্থায় একাধিক হাইড্রা শেকলের আকারে অবস্থান করে।এরুপ অবস্থানকে কলোনিয়াল হাইড্রা বলে।মুকুলোদগম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগে।

২)Binary Fission:

০ বাহ্যিক কোন অস্বাভাবিক কারনে দেহ খন্ডায়িত হয়ে শিশু হাইড্রা সৃষ্টির মাধ্যমে অযৌন প্রজনন সম্পন্ন করলে তাকে দ্বি-বিভাজন বলে।
০ আকস্মিক কোন কারনে হাইড্রা এর দেহ দুই বা ততোধিক খন্ডে বিভক্ত হলে প্রতিটি খন্ডে একটি শিশু হাইড্রা পরিনত হয়।
০ এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অংশের ইন্টারস্টিসিয়াল কোষ ড্রুত গতিতে বিভাজন ও রুপান্তর ঘটিয়ে হারানো অংশের পুনর্গঠন সম্পন্ন করে শিশু হাইড্রার বিকাশ ঘটায়।
কাজেই দ্বি-বিভাজন কোন স্বাভাবিক প্রজনন পদ্ধতি নয়।দ্বি-বিভাজন দুই ভাবে ঘটতে পারে,যেমন-

ক}longitudinal Binary Fission:

০ এক্ষেত্রে হাইড্রা এর দেহ লম্বালম্বিভাবে দুই বা ততোধিক খন্ডে বিভক্ত হলে প্রতিটি খন্ড হতে পৃথক পৃথক শিশুহাইড্রার সৃষ্টি হয়।
০ অনেক সময় শুশু হাইড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অজ্ঞাত কারনে দ্বিওমস্তক বিশিষ্ট হাইড্রাতে পরিনত হয়এবং পরিশেষে অনুদৈর্ঘ্য বিভাজন দ্বারা দুটি অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি করে।

খ}Transverse Binary Fission:

কোন কোন সময় আকস্মিক ও অস্বাভাবিক দেহ সংকোচন বা অন্য কোন কারনে হাইড্রা এর দেহ আড়াআড়ি ভাবে দুই বা ততোধিক খন্ডে বভক্ত হয় এবং প্রতিটি খন্ড হতে পৃথক পৃথক শিশু হাইড্রা সৃষ্টি হয়।
একেই অনুপ্রস্থ দ্বি-বিভাজন বলে।


Tuesday 1 July 2014

Symbiosis

Symbiosis:

যখন দুটি ভিন্ন প্রজাটিভূক্ত জীব ঘনিষ্ঠভাবে সহাবস্থান করে, কেউ কারো ক্ষতি করে না, বরং উভয়েই উভয়ের
দ্বারা উপকৃত হয়, তখন উক্ত ভিন্ন প্রজাতিভুক্ত জীব দুটিকে পরস্পরের মিথোজীবী এবং তাদের এই ধরনের
সহাবস্থান পদ্ধতিকে মিথোজীবীতা বলে।মিথোজীবী জীব দুটি পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল এবং কেউ কারও
কোন ক্ষতি করে না।মিথোজীবী জীব দুটির মধ্যকার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী, এমনকি চিরস্থায়ী হতে পারে।
মিথোজীবীতা দুটি উদ্ভিদ প্রজাতি, দুটি প্রাণী প্রজাতি বা একটি উদ্ভিদ ও একটি প্রাণী প্রজাতির মধ্যে হতে পারে।
Chlorohydra viridissima Zoochorella মিথোজীবীতার উ কৃষ্ট উদাহরন।

হাইড্রার মিথোজীবীতাঃ

Chlorohydra viridissima নামক সবুজ হাইড্রা এবং Chlorella vulgaris নামক
এককোষী সবুজ শৈবালের মধ্যে মিথোজীবীতা লক্ষ করা যায়। মিথোজীবীতার কারনে
Chlorohydra Zoochorella উভয়ই পরস্পর পরস্পরের নিকট হতে উপকার পেয়ে থাকে।


শৈবাল যেভাবে হাইড্রার নিকট থেকে উপকৃত হয়-
১)শৈবাল হাইড্রার এন্ডোডার্মিসের পুষ্টি পেশিকোষে নিরাপদ আশ্রয়ে বসবাস করে।অর্থা  শৈবালটিকে হাইড্রা
একটি নিরাপদ আশ্রয় দান করে।
২)হাইড্রা এর শ্বসনকালে উ পন্ন কার্বনডাই-অক্সাইড সালোকসংশ্লেষনে ব্যবহার করে শর্করা উ পন্ন করে।
অর্থা হাইড্রা শৈবালটিকে খাদ্য তইরীতে সাহায্য করে।
৩)হাইড্রা এর বিপাকীয় ক্রিয়ার ফলে উ পন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ শৈবাল নাইট্রোজেন সার রূপে
ব্যবহার করে দৈহিক বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টি ঘটায়।

হাইড্রা যেভাবে শৈবালের নিকট হতে উপকৃত হয়-

১)শৈবাল সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় যে শর্করা প্রস্তুত করে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ হাইড্রা খাদ্য
হিসাবে গ্রহন করে।
২)সালোক সংশ্লেষন কালে শৈবালের দেহ থেকে যে অক্সিজেন উ পন্ন হয় হাইড্রা তা শ্বসনে ব্যবহার করে।
৩)হাইড্রা এর দেহে বিপাক কালে যে নাইট্রোজেঙ্ঘটিত বর্জ্য পদার্থ উ পন্ন হয় তা হাইড্রার দেহের জন্য
ক্ষতিকর।শৈবাল এ ক্ষতিকর পদার্থ গ্রহন করে হাইড্রাকে বিষক্রিয়ার কবল থেকে রক্ষা করে।
৪) হাইড্রা এর শ্বসন কালে উ পন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও শৈবাল গ্রহন করে হাইড্রাকে বিষক্রিয়ার
কবল থেকে রক্ষা করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,Chlorohydra Zoochlorella ঘনিষ্ঠভাবে অবস্থান করে,
কেউ কারো ক্ষতি করে না,বরং উভয়ই উভয়ের উপকার করে থাকে।এ ক্ষেত্রে শৈবালটিকে হাইড্রা এর

Life long paying guest নামে আক্ষ্যায়িত করা যায়।ক্ষ্যায়িত করা যায়।

Locomotion in Hydra

Hydra এর চলন

প্রতিটি প্রাণীকে খাদ্য গ্রহন , আত্বরক্ষা এবং প্রজননের জন্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে
স্থানান্তরিত হতে হয়।হাইড্রাও এর ব্যাতীক্রম নয় কিন্তু হাইড্রার  সুনির্দিষ্ট কোন
চলন অঙ্গ নেই।হাইদড়ার দেহপ্রাচীর, কর্ষিকা ও ভেসাল ডিস্ক চলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
পালন করে।নিম্নে হাইড্রার চলন প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলঃ
Somersaulting:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা প্রথমে টার দেহকে গতিপথের দিকে বাকিয়ে চলন তলের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
পরে কর্ষীকার সাহায্যে চলন তলকে আকড়ে ধরে লুপ সৃষ্টি করে।
অতপর বেসাল ডিস্ককে চলন তল থেকে মুক্ত করে কর্ষিকার উপর ভর দিয়ে উল্টাভাবে দাঁড়ায়।
অতঃপর বেসাল ডিস্ক অংশকে গতিপথের দিকে বাকিয়ে চলন তলকে পুনরায় আকড়ে ধরে লুপ তৈরি করে।
পরবর্তীতে কর্শিকাসমুহকে চলন তল থেকে মুক্ত করে ভেসাল ডিস্কের উপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
এই ভাবে ডিগবাজী পদ্ধতিতে হাইড্রা দ্রুত চলন সম্পন্ন করে।
Looping:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা প্রথমে দেহকে বাকিয়ে কর্ষিকার সাহায্যে চলন তলকে আকড়ে ধরে।
পরবর্তীতে লুপ অবস্থায় বেসাল ডিস্ককে চলন তল থেকে মুক্ত করে হাইপোস্টোমের কাছে চলন তলকে আটকে ধরে।
অতঃপর হাইড্রা কর্ষিকা সমুহকে চলন তল থেকে মুক্ত করে ভেসাল ডীস্কের উপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
এই প্রক্রিয়ায় হাইদড়া খুব ধীরে ধীরে চলতে থাকে।সবসময় লুপিং অবস্থায় চলে বলে একে লুপিঙ্গ চলন বলে।
Amoeboid or Gliding:

কোন মসৃন তলবিশিষ্ট স্বল্প দূরত্ব অতিক্রমকালে পাদচাকতির এপিডার্মিসের গ্রন্থিকোষ থেকে মিউকাস নিঃসৃত করে।
অতঃপর পেশি আবরনী কোষের মায়োনিম চলনের দিক বরাবর সম্প্রসারিত হয়।
যার ফলে ক্ষনপদের ন্যায় উপবৃদ্ধি সৃষ্টি হয় এবং পাদচাকতিটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
এই ধরনের চলন অ্যামিবার চলনের সাথে সাদৃশ্য বলে একে অ্যামিবয়েড চলন বলে।
Swimming:

অনেক সময় পাদচাকতিকে ধারক তল থেকে বিমুক্ত করে দেহকে পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
কর্ষিকাগুলো ডান ও বাম দিক বরাবর পানিতে আঘাত হানে এবং ডেউয়ের সৃষ্টি করে।
ফলে হাইড্রা গমন পথের দিকে অগ্রসর হয়,এরুপ চলনে দেহ ও কর্ষিকা বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
Climbing:

পানিতে নিমজ্জিত কোন অবলম্বনে ওঠা নামার জন্য হাইড্রা প্রথমে কর্ষিকা দ্বারা অবলম্বনকে স্পর্শ করে।
স্পর্শ করা মাত্র গ্লুটিনেন্ট নেমাটোসিস্ট নিক্ষিপ্ত হয়ে অবলম্বনকে আকড়ে ধরে।
অতঃপর কর্ষিকার দিক বরাবর মায়োনিম সংকোচিত হয় এবং পাদচাকতি অবলম্বন থেকে বিমুক্ত হয়।
ফলে দেহ বাকা হয় এবং পাদচাকতি কর্ষিকার ঠিক পিছনে পুনঃস্থাপিত হয়।
এভাবে হাইড্রা উপর থেকে নিচে আবার নিচ থেকে উপরে আরোহন করে।
Floating:

মাঝে মাঝে হাইড্রা পাদচাকতির এপিডার্মিসের গ্রন্থিকোষ থেকে মিউকাস নিঃসৃত হয়ে বুদবুদের আকারে
পরিনত হয়।
ফলে হাইড্রা অবলম্বন থেকে বিমুক্ত হয়ে পানির উপরিতলে ভেসে উঠে।
বুদবুদগুলি ফেটে গেলে মিউকাস সুত্রক ভেলার মত কাজ করে এবং হাইড্রা কিছুদুর পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে।
Body Contraction and Expansion:

অনেক সময় হাইড্রা পাদচাকতিকে অবলম্বন থেকে মুক্ত করে এপিডার্মিসের মায়োনিমগুলোর সংকোচন ও
প্রসারনের মাধ্যমে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে।
Spiral movement:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা টার দেহ প্রাচীরের এক পাশের কোষগুলোর সংকোচন এবং বিপরীত পার্শের
কোষগুলোর প্রসারনের মাধ্যমে সাপের মত এক ধরনের চলন সম্পন্ন করে।