১) ব্যাকটেরিয়া কী ?
উত্তরঃ কোষীয় অঙ্গাণুবিহীন , জটিল
কোষপ্রাচীর ও আদিপ্রকৃতির নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট ক্ষুদ্রতম সরল প্রকৃতির এককোষী
আণুবীক্ষণিক জীব।
২) সিউডোনিউক্লিয়াস বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিয়াসকে
সিউডোনিউক্লিয়াস বলে । কারন ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়ার আবরনী ও
নিউক্লিওলাস থাকে না এবং কোন হিস্টোন প্রোটিনও পাওয়া যায় না ।
৩) ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ যে কোষে নিউক্লিয়ার আবরনী এবং সুগঠিত
নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদিকোষ বলে । ব্যাকটেরিয়া মনেরা কিংডমের এককোষী
আণুবীক্ষণিক অণুজীব এবং এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় অর্থাৎ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এবং
নিউক্লিওলাস অনুপস্থিত।
৪) প্লাজমিড কী ?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়াতে প্রধান বংশগতি বস্তু
ডিএনএ ছাড়াও কিছু ক্ষুদ্র , গোলাকার , দ্বিতন্ত্রী ডিএনএ অণু সাইটোপ্লাজমে দেখা
যায় এগুলোকে প্লাজমিড বলে । এরা স্ববিভাজনক্ষম এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জন্য
নির্ধারিত জিন বহন করে ।
৫) ফ্লাজেলা বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ সাইটোপ্লাজমের বহিঃস্তর থেকে সৃষ্টি
হয়ে কোষঝিল্লি ও কোষপ্রাচীর ভেদ করে বাইরে প্রসারিত সূক্ষ দীর্ঘ সুতার মত অংশ যা
ব্যাকটেরিয়ার চলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ।
৬) পিলি কী ?
উত্তরঃ ফ্লাজেলা ছাড়াও কোন কোন ব্যাকটেরিয়ার
বহির্গাত্রে অসংখ্য সূক্ষ সূত্রাকার উপাঙ্গ দেখা যায় , এগুলোকে পিলি বলে ।
৭) অযৌন জনন বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ গ্যামেট উৎপাদন ও মিলন ছাড়াই
একটিমাত্র মাতৃদেহ থেকে নতুন জীবের সৃষ্টি হওয়াকে অযৌন জনন বলে ।
৮) দ্বিভাজন বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়ার
কোষদেহটি সরাসরি বিভাজিত হয়ে হুবহু একই রকম দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে এবং
প্রতিটি অপত্য কোষ পরিণত হয়ে পুনরায় একইভাবে বিভাজিত হয়ে অসংখ্য অপত্য কোষের
সৃষ্টি করে এই প্রক্রিয়াকে দ্বিভাজন বলে ।
৯) এন্ডোস্পোর বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ প্রতিকূল পরিবেশে উপযুক্ত খাদ্যের
অভাবে ব্যাকটেরিয়া কোষের প্রোটোপ্লাস্ট সংকুচিত হয়ে গোল বা ডিম্বাকার ধারন করে
চারিদিকে একটি পুরু আবরন তৈরি করে যাকে এন্ডোস্পোর বলে ।
১০) রেটিং স্পোর কী ?
উত্তরঃ সাধারনত Bacillaceae গোত্রের ব্যাকটেরিয়া
প্রতিকূলতা প্রতিরোধের কৌশল হিসাবে দেহের চারিদিকে যে গোলাকার আবরন তৈরি করে তাকে
রেটিং স্পোর বলে।
১১) ভেক্টর কী ?
উত্তরঃ রোগের জীবাণুকে একস্থান থেকে অন্য
স্থানে বহনকারী জীবিকেই ভেক্টর বলা হয় ।
১২) ক্রোম্যাটোফোর কী ?
উত্তরঃ যে সকল ব্যাকটেরিয়া সালোকসংশ্লেষণে
অংশ গ্রহন করে তাদের দেহে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিবর্তে ক্রোম্যাটোফোর থাকে।
১৩) মেসোজোম বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমামেম্ব্রেন কখনও
কখনও ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে একটি বিশেষ ধরনের থলি গঠন করে তাকে মেসোজোম বলে। ইহা
ব্যাকটেরিয়ার শ্বসন ও কোষ বিভাজনের সাথে জড়িত।
১৪) গোনিডিয়া কী ?
উত্তরঃ সূত্রাকার ব্যাকটেরিয়ার সচল
কনিডিয়াকে গোনিডিয়া বলে ।
১৫) কনিডিয়া বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ সূত্রাকার স্ট্রেপটোমাইসিস
ব্যাকটেরিয়া স্পোরের মত কতগুলো শৃঙ্খলাবদ্ধ কনিডিয়া বা কনিডিওস্পোর গঠন করে
বংশবৃদ্ধি করে । কনিডিয়া দ্বিভাজন প্রক্রিয়ায় অল্প সময়ে অসংখয ব্যাকটেরিয়ার জন্ম
দেয় ।
১৬) গনিডিয়া কী ?
উত্তরঃ Leucothris জাতীয় সুত্রাকার ব্যাকটেরিয়ার প্রোটোপ্লাজম খন্ডিত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
ফ্লাজেলাযুক্ত গনিডিয়া উৎপন্ন করে ।
১৭) কনজুগেশন কী ?
উত্তরঃ গ্যামেট সৃষ্টি ব্যাতিরেকে দুটি ব্যাকটেরিয়ার
প্রত্যক্ষ সংযুক্তির মাধযমে যে মিলন ঘটে তাকে কনজুগেশন বলে ।
১৮) পাইলাস কী ?
উত্তরঃ দাতা বযাকটেরিয়ামের জিনবাহি ফাঁপা
সূত্রের মত গঠন ।
১৯) মেরোজাইগোট বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ দাতা ব্যাকটেরিয়ামের ডিএনএ গহীতার
দেহে সম্পূর্ণরূপে স্থানান্তরের পূর্বে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে গ্রহীতা কোষটি দাতা
কোষের নিউক্লিও পর্দার অংশবিশেষ লাভ করে যে অসম্পূর্ণ জাইগোট গঠন করে তাকে
মেরোজাইগোট বলে।
২০) ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপাদিত জীবন
রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিকের নাম লিখ।
উত্তরঃ সাবটিলিন , পলিমিক্সিন ,
স্ট্রেপটোমাইসিন ইত্যাদি ।
২১) মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধিকারী
ব্যাকটেরিয়ার নাম লিখ ।
উত্তরঃ Azotobacter
, Pseudomonas,Clostridium প্রভৃতি।
২২) নাইট্রিফিকেশন বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়াকে নাইট্রাইটে পরিনত করাকে
নাইট্রিফিকেশন বলে । এ ক্ষেত্রে Nitrosomonnas
, Nitrococcus ইত্যাদি স্থলজ ব্যাকটেরিয়া প্রথম ধাপে অ্যামোনিয়াকে
নাইট্রেটে পরিনত করে এবং দ্বিতীয় ধাপে Nitrobacter নাইট্রেটকে নাইট্রাইটে পরিনত করে ।
No comments:
Post a Comment