Pages

Sunday 29 June 2014

Mechanism of Discharge of Nematocyst and Intaking and Digestion of food of Hydra

সূত্রক নিক্ষেপের কৌশল


১ ক্যাপসুল ও সুত্রক অঞ্চল নিয়ে নেমাটোসিস্ট গঠিত।
২ স্বাভাবিক অবস্থায় সুত্রক্টি ক্যাপসুলের ভেতরের তরলে প্যাচানো ভাবে থাকে।
৩ শুধুমাত্র উদ্দীপনার ভিত্তিতে সুত্রক্টি বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।
৪ ক্যাপসুলের তরলে বিভিন্ন ধরনের আয়ন,অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন থাকে।
৫ রাসায়নিক বা যান্ত্রিক উদ্দীপনার কারনে আয়নগুলো প্রোটিন থেকে বিমুক্ত হয়।
৬ ফলে ক্যাপসুলের প্রাচীরের ভেদ্যতা বেড়ে যায় এবং পানি দ্রুত ক্যাপসুলের ভিতরে প্রবেশ করে।
৭ যার কারনে ক্যাপসুলের ভেতরের অভিশ্রবনিক চাপ বেড়ে যায়।
৮ কারন ক্যাপসুলের চারিদিকের মাইক্রোফাইব্রিলগুলোর সংকোচন অভিস্রবনিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৯ এভাবে অভিস্রবনিক চাপ বৃদ্ধির ফলে নেমাটোসিস্টের অপারকুলাম খুলে যায়।
১০ ফলে নেমাটোসিস্টের সুত্রক ক্যাপসুল থেকে দ্রুত বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।
১১ নেমাটোসিস্টের সুত্রক নিক্ষেপের পর নিডোব্লাস্টটি খাদ্য বস্তুর সাথে পাচিত হয়ে যায়।
১২ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ থেকে নতুন নিডোব্লাস্ট কোষের সৃষ্টি হয়।
মনে রাখা প্রয়োজন,একটি নিডোব্লাস্ট থেকে শুধুমাত্র একবারই একটি নেমাটোসিস্ট নিক্ষিপ্ত হতে পারে।

খাদ্য গ্রহন ও পরিপাক
যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরীতে অক্ষম এবং বিভিন্ন প্রকার জটিল খাদ্য
গলাধঃকরনে সক্ষম তাকে হলোজয়িক পুষ্টি বলে।হলোজয়িক পুষ্টি সাধারনত তিনটি ধাপের
মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ঃ
a. খাদ্য গ্রহনঃ

১. ক্ষুদার্থ হাইড্রা খাদ্য শিকারের জন্য পাদচাকতির সাহায্যে উল্টাভাবে ঝুলে থেকে কর্ষিকাগুলো পানিতে ভাসিয়ে রাখে।
২. কোন সজীব খাদ্য বস্তু কর্ষিকার স্নগস্পশে এলে ভলভেন্ট নেমাটোসিস্টের সাহায্যে বস্তুকে প্যাচিয়ে ধরে।
৩. গ্লুটিনেন্ট নেমাটোসিস্ট আথালো পদার্থ নিঃসরনের মাধ্যমে বস্তুটিকে আরও মজবুত ভাবে পেচাতে সাহায্য করে।
৪. পেনিট্রান্ট নেমাটোসিস্ট বস্তুর দেহে বিদ্ধ হয়ে হিপনোটক্সিন শিকারের দেহে প্রবেশ করিয়ে শিকারকে মেরে ফেলে।
৫. কর্ষিকাগুলো বক্র হয়ে শিকারকে মুখছিদ্রের কাছে নিয়ে এলে মুখছিদ্র ও হাইপোস্টোম আকারে বৃদ্ধি পায়।
৬. মুখ ছিদ্রের চারিদিকের গ্রন্থিকোষ থেকে মিউকাস নিঃসরনের মাধ্যমে মুখছিদ্রকে পিচ্ছিল করে।
৭. হাইপোস্টোম সংকোচন ও প্রসারনের ফলে খাদ্যবস্তু মুখছিদ্র থেকে হাইপোস্টোম পথে গলাধঃকরন সম্পন্ন হয়।

b. খাদ্য পরিপাকঃ
যে জৈবনিক প্রক্রিয়ায় খাদ্যবস্তু বিভিন্ন এনজাইমের কার্যকারিতায় আত্তীকরন উপযোগী অবস্থায় উপনীত হয়
তাকে পরিপাক বলে।হাইড্রার পরিপাক সাধারন্ত দুই ধরনের-
ক) বহিকোষীয় পরিপাকঃ
১. গলাধকৃত খাদ্য সিলেন্টেরনের তরলের সংস্পর্শে এসে সিক্ত ও নরম হয়।
২. দেহপ্রাচীরের সংকোচন-প্রসারনের ফলে খাদ্য চূর্ন-বিচূর্ন হয়।
৩. সাইটোপ্লাজম নিঃসৃত হাইডড়োক্লোরিক এসিডের মাধ্যমে জীবাণুমূক্ত ও অম্লীয় হয়।
৪. অতপর এপিডার্মিসের গ্রন্থিকোষ নিঃসৃত পেপ্সিন এনজাইম আমিষকে পাচিত করে।
৫. পাচিত আমিষ পরে পেপটোন,প্রোটিওজ ও পলিপেপটাইডে পরিনত হয়।
এ পর্যায়টি এন্ডোডার্মিসের বাহিরে সিলেন্টেরনে ঘটে বলে একে বহিঃকোষীয় পরিপাক বলে।


খ) অন্তঃকোষীয় পরিপাকঃ
১. ক্ষনপদ যক্ত এন্ডোডার্মিসের পাশিকোষগুলো খাদ্যকনাকে ঘিরে ক্ষনপদ বিস্তার করে ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়
খাদ্য গহবরে আবদ্ধ করে।
২. সাইটোপ্লাজম থেকে ক্ষারীয় রস ও বিভিন্ন এনজাইম নিঃসৃত হয়ে খাদ্য পরিপাকে অংশ নেয়।
৩. ট্রিপসিন নামক এনজাইম পেপটোন, প্রোটিওজ ও পলিপেপটাইডকে অ্যামিনোএসিডে পরিনত করে।
লাইপেজ স্নেহকে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিনত করে।
৪. অ্যামাইলেজ শর্করাকে গ্লুকোজে পরিনত করে।
এই প্ররযায়টি কোষের অভ্যন্তরে ঘটে বলে একে অন্তঃকোষীয় পরিপাক বলে।


c. বহিষ্করনঃ
১. পরিপাকের ফলে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খাদ্যসার দেহের সর্বত্র পৌছে।
২. হাইড্রা সাধারনত শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য পরিপাকে অক্ষম।
৩. গ্যাস্ট্রোডার্মিসের খাদ্যগহবর যুক্ত কিছু কোষ স্থানচ্যুত হয়ে দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে
খাদ্যসার পরিবহনে সহায়তা করে।
৪. হাইড্রার দেহের পেশিসংকোচনের কারনে খাদ্যের অপাচ্য অংশ মুখছিদ্রের মাধ্যমে
দেহ থেকে বহিষ্কৃত হয়।

জেনে রাখা ভাল যে, হাইড্রা সাধারনত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ, লার্ভা, ক্রাস্টেসিয়া, নেমাটোড, রটিফার, অ্যানিলিডা, মাছের ডিম, মাছের ক্ষুদ্র পোনা, ট্যাডপোল লার্ভা ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থাকে।

Thursday 26 June 2014

Nidoblast cell and Nematosist


নিডারিয়া পর্বের সকল প্রানীর এপিডার্মিসের পেশী-আবরনী কোষের ফাকে ফাকে নিডোব্লাস্ট কোষ অবস্থান করে।কর্ষিকাতে এদের সংখ্যা সর্বাধিক এবং পদতলে অনুপস্থিত। কর্ষীকার স্থানে স্থানে ১০-১২টি নিডোব্লাস্ট কোষ একত্রে থেকে স্ফীত অংশ তৈরী করে,একে নিমাটোসিস্ট বেটারি বলে।নিডোব্লাস্ট কোষ দেখতে গোলাকার,ডিম্বাকার,নাশপাতি বা পেয়ালা আকৃতির হয়ে থাকে।একটি নিডোব্লাস্ট কোষ নিন্মলিখিত অংশগুলি নিয়ে গঠিতঃ

১)Cell Covering:
প্রতিটি কোষ দুইস্তর বিশিষ্ট পাতলা আবরন দ্বারা আবৃত।

২)Cytoplasm:
কোষের মধ্যে দানাদার সাইটোপ্লাজম এবং একটি বড় নিউক্লিয়াস থাকে।এছাড়া সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন ধরনের সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গানু যেমন-মাইটোকড্রিয়া,গলগি বস্তু,রাইবোসোম ইত্যাদি বিদ্যমান।

৩)Nematocyst:
নিডোব্লাস্ট কোষের স্ফীত অঞ্চলে সূত্রক ধারনকারী থলি বা ক্যাপসুলটিকে নেমাটোসিস্ট বলা হয়।ইন্টারস্টিসিয়াল কোষের গহবর থেকে নেমাটোসিস্টের উ পত্তি হয় বলে ধারনা করা হয়।গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী Werner(1965) নিডারিয়া পর্বের প্রানীদেহে ২৩ প্রকারের নেমাটোসিস্ট আবিস্কার করেন।এদের মধ্যে চার ধরনের নেমাটোসিস্ট হাইড্রাতে পাওয়া যায়।

ক)স্টিনোটিলঃ


> এই ধরনের নেমাটোসিস্ট সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম।এর ক্যাপসুলটি প্রায় ১৬ মাইক্রন ব্যাসবিশিষ্ট।
> স্বাভাবিক অবস্থায় সূত্রকটি ক্যাপসুলের ভিতরে প্যাচানো অবস্থায় থাকে,কিন্তু নিক্ষিপ্ত অবস্থায় সূত্রকটি সোজা থাকে।
> সূত্রকের প্রশস্ত গোড়াকে বাট বা স্যাফট বলে এবং বাটের গোড়ার দিকে বার্ব নামক তিনটি বড় তীক্ষন কাটা থাকে।
> শীর্ষভাগের সরু অংশে বার্বিউল নামক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাটা তিন সারিতে সর্পিলাকারে বিন্যস্ত থাকে।
> সূত্রকটি শিকারের দেহে অনুপ্রবেশ করে বলে এদেরকে পেনিট্র্যান্টও বলে।
কাজঃ
> শিকার ধরা,শিকারকে আটকে রাখা এবং আত্নরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।
> শিকারের দেহে হিপনোটক্সিন নামক বিষাক্ত তরল প্রবেশ করিয়ে শিকারকে দূর্বল করে বা মেরে ফেলে।

খ)ভলভেন্টঃ


> এর ক্যাপসুল নাসপাতির আকৃতির এবং অপেক্ষাকৃত ছোট,ব্যাস প্রায় ০৭ মাইক্রন।
> সূত্রকটি খাটো,মোটা,স্থিতিস্থাপক এবং অগ্রপ্রান্ত বন্দ।
> ক্যাপসুলের ভেতরে সূত্রকটি একটিমাত্র পযাচে গুটানো থাকে।
> সূত্রকটি নিক্ষিপ্ত হওয়ার সাথে সাথে স্ক্রুর ন্যায় অনেকগুলো পযাচ গঠন করে।
> এর বাট সুগঠিত নয় এবং বাটে বার্বস ও বার্বিউল থাকে না।
কাজঃ
> শিকারকে প্যাচিয়ে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
> হাইড্রার চলনে এই সুত্রকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গ)স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিনেন্টঃ


> এদের ক্যাপসুল ডিম্বাকার এবং ব্যাস প্রায় ০৯মাইক্রন।
> সূত্রকটি লম্বা এবং সূত্রকের দৈর্ঘ্য বরাবর ছোট ছোট কাটা সর্পিলাকারে বিন্যস্ত।
> সুত্রকটির বাট সুগঠিত নয় এবং সূত্রকের শীর্ষ উন্মুক্ত।
কাজঃ
> এই সূত্রকটি খাদ্য প্রানীকে চাবুকের মত আঘাত করে শিকারকে দূর্বল করে ফেলে।
> এছাড়া শিকারকে আটকে রাখতে এবং চলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


ঘ)স্টেরিওলিন গ্লুটিন্যান্টঃ

> এদের ক্যাপসুল সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং ব্যাস ০৬মাইক্রন।
> এদের বাট সুগঠিত নয় বা অনুপস্থিত।
> সূত্রকটি অপেক্ষাকৃত ছোট এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনুবীক্ষনিক কাটা যুক্ত।
কাজঃ
> এই ধরনের সূত্রক এক ধরনের আঠালো রস নিঃসৃত করে শিকারকে আটকে রাখে।
> হাইড্রার চলনেও এর ভূমিকা রয়েছে।
৪)Operculum:
নেমাটোসিস্টের সূত্রক ও ক্যাপসুল একটি ঢাকনা দিয়ে ঢাকা থাকে।একে অপারকুলাম বলে।
৫)Cytoplasmic Fibrial:
ক্যাপ্সুলের পৃষ্ঠদেশ থেকে কতকগুলো ক্ষুদ্র পেশিতন্তু উ পন্ন হয়ে সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে এবং পরে সবগুলো তন্তু একত্রিত হয়ে নিডোব্লাস্টের বৃন্তের মত গোড়ার অংশের মধ্য দিয়ে মেসোগ্লিয়ার সাথে যুক্ত থাকে।এছাড়া একটি মোটা পযাচানো সুতার ন্যায় অঙ্গ নিডোব্লাস্টের তলদেশ হতে বের হয়ে ক্যাপসুলের সাথে যুক্ত থাকে,একে ল্যাসো বলে।
৬)Cnidocil:
নিডোব্লাস্ট কোষেড় মুক্ত প্রান্তের একপাশে অবস্থিত দৃঢ,ক্ষুদ্র ও সংবেদনশীল রোম থাকে,একে নিডোসিল বলে।নিডোসিল সূত্রক নিক্ষেপের জন্য বন্দুকের ট্রিগারের মত কাজ করে।
নিডোব্লাস্টের কাজঃ
> শিকার ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়।
> চলাচলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
> কোন বস্তুর সাথে দেহকে আটকে রাখতে সহায়তা করে।

> হাইড্রার আত্বরক্ষার কাজে এই কোষগুলোর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

Monday 23 June 2014

Epidermis of hydra

হাইড্রা নিডারিয়া পর্বের দ্বিস্তরী প্রাণী।গ্রিক পুরানে কথিত আছে যে,গ্রিসে হাইড্রা নামের নয় মস্তক বিশিষ্ট্ এক কাল্পনিক দৈত্য ছিল।সর্বপ্রথম ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক হাইড্রা এর বর্ননা করেন।হাইড্রার দেহ মূলত কেন্দ্রীয় গযাস্ট্রোভাস্কুলার গহবর বা সিলেন্টেরন এবং তাকে ঘিরে দেহপ্রাচীর নিয়ে গঠিত।হাইড্রা বহুকোষী প্রানী বিধায় এর দেহপ্রাচীরের কোষগুলো এপিডার্মিস এবং গ্যাস্ট্রোডার্মিস নামক দুটি স্তরে বিন্যস্ত থাকে।এই দুটি স্তরের মাঝে মেসোগ্লিয়া নামক জেলির ন্যায় অকোষীয় স্তর বিদ্যমান।পরিনত হাইড্রার দেহ প্রাচীরের সর্বাপেক্ষা বাইরের কোষীয় স্তরকে এপিডার্মিস বলে।গঠনগত ও কার্যগত দিক দিয়ে বৈচিত্র্যময় সাত প্রকার কোষের সমন্বয়ে এপিডার্মিস গঠিত।নিন্মে কোষগুলো গঠন ও কাজ আলোচিত হলঃ


১)Masculoepithelial cell:

গঠনঃ


এই কোষগুলো হাইড্রার বহিঃত্বকের সমস্ত স্থান জুড়ে অবস্থিত।
০কোষগুলো স্তম্বাকার,তবে কতকটা উলটানো T অক্ষরের মত।
০ প্রতিটি কোষের অভ্যন্তরে একটি ডিম্বাকার নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম থাকে।
০ সাইটোপ্লাজমের মধ্যে কতগুলো গহবর,অণুসূত্র এবং বাইরের প্রান্তের দিকে অনেকগুলো মিউকাস বস্তু থাকে।
০ প্রতিটি কোষের বাইরের প্রান্ত প্রশস্ত এবং ভেতরের প্রান্ত তুলনামূলকভাবে সরু।
০ প্রতিটি কোষের বাইরের প্রান্ত পরস্পরের সাথে যুক্ত।
০ কোষের ভেতরের সরু অংশের শেষ প্রান্তে এক বা একাধিক মায়োনিম নামক সংকোচনশীল তন্তু সম্বলিত পেশী লেজ বিদ্যমান।
০ কর্ষিকাস্থিত কোষগুলো বেশ চড়া ও চ্যাপ্টা।এদের কিনারা পাতলা এবং মধ্যস্থল পুরু।

কাজঃ
০ কোষের প্রশস্ত প্রান্ত বহিরাবরন সৃষ্টির মাধ্যমে দেহকে বাইরের বিপদ-আপদ হতে রক্ষা করে।
০ কোষের সরু অংশের পেশী লেজ অণুদৈর্ঘ্য পেশীস্তরের সৃষ্টির মাধ্যমে দেহকে সংকোচন ও প্রসারন ঘটিয়ে হাইড্রাকে চলনে সাহায্য করে।
০ মিউকাস বস্তুগুলো মিউকাস নিঃসৃত করে হাইড্রাকে কোন কিছুর সাথে আটকে রাখতে সাহায্য করে।

২)Interstitial cell:

গঠনঃ

০এরা মেসোগ্লিয়া ঘেষে অবস্থিত।
০ এরা ক্ষুদ্র গোলাকার এবং ৫ মাইক্রন ব্যাসবিশিষ্ট।
০ নিউক্লিয়াস বড় ও স্পষ্ট।
০ সাইটোপ্লাজম গাঢ় এবং এতে অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা,রাইবোজোম ও মাইটোকনড্রিয়া থাকে।

কাজঃ
০ এরা হাইড্রার পুনরু পত্তি,বৃদ্ধি ও জননাঙ্গ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
০ এরা প্রয়োজনে দেহের যে কোন কোষে রুপান্তরিত হতে পারে।

৩)Nerve cell:

গঠনঃ
০ এই কোষগুলো মেসোগ্লিয়ার সংস্পর্শে অপেক্ষাকৃত ভেতরের দিকে থাকে।
০ প্রতিটি কোষ দেখতে পঞ্চভূজের মত এবং এতে একটি সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে।
০ কোষের প্রতিটি কোন হতে একটি করে অণূসূত্র প্রসারিত থাকে এবং প্রতিটি অণুসূত্র শাখান্বিত হয়ে মেসোগ্লিয়ায় স্নায়ু  জালকের সৃষ্টি করে।
০ কোষগুলো অণূসূত্রকের সাহায্যে সংবেদী কোষের পাদদেশে এবং পেশী আবরনী কোষের অণূসূত্রকের সাথে যুক্ত থাকে।

কাজঃ
সংবেদী কোষ দ্বারা গৃহীত উদ্দীপনার উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করাই স্নায়ু কোষের প্রধান কাজ এবং বিভিন্ন কোষের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।

৪)Sensory cell:
গঠনঃ

এই কোষগুলো দুটি পেশী আবরণী কোষের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
০ কোষগুলো লম্বা ও সরু,তবে মধ্যভাগ স্ফীত।
০ স্ফীত অংশে একটি বৃহদাকার নিউক্লিয়াস থাকে।
০ প্রতিটি কোষের মুক্ত প্রান্তে কয়েকটি সংবেদী রোম থাকে এবং মেসোগ্লিয়া সংলগ্ন প্রান্তে কয়েকটি অণূসূত্র থাকে।
০ অণূসূত্র গুলোর সাহায্যে এরা স্নায়ু কোষের সাথে যুক্ত থাকে।

কাজঃ
এরা পরিবেশ হতে উদ্দীপনা গ্রহন করে স্নায়ুকোষে পৌছে দেয়।

৫)Gland cell:

গঠনঃ


০ এই কোষগুলো হাইড্রার পাদচাকতি ও হাইপোস্টোমে থাকে।
০ কোষগুলো স্তম্ভাকার এবং এদের বাইরের দানাদার ও ভেতরের প্রান্ত পেশী দ্বারা প্রলম্বিত।
কাজঃ
০ পাদচাকতির গ্রন্থি কোষসমূহ গ্যাসের বুদবুদ সৃষ্টি ও ক্ষনপদ বিস্তার করে চলনে সহায়তা করে।
০ হাইপোস্টোমের গ্রন্থি কোষ নিঃসৃত মিউকাস খাদ্য গ্রহনে সাহায্য করে।

৬)Germ cell:

গঠনঃ


০ এরা দেহের জননাঙ্গে থাকে।
০ এদের শুক্রাণু ক্ষুদ্র,গোলাকার মাথা এবং লম্বা লেজ বিশিষ্ট।
০ ডিম্বাণু বড় ও গোলাকার।

কাজঃ
যৌন জননে অংশ গ্রহন করাই এদের প্রধান কাজ।

৭)Cnidocyte cell:

গঠনঃ

০ এই কোষগুলো হাইড্রার পাদচাকতি ব্যাতীত দুটি পেশী আবরনী কোষের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
০ কোষগুলো দেখতে লাটিমের মত।প্রতিটি কোষের মেসোগ্লিয়ার দিক সরু,মধ্য অংশ স্ফীত এবং বাইরের দিক সরু।
০ প্রতিটি কোষ বহিঃ ও অন্তঃআবরনী দ্বারা আবৃত থাকে।এই দুই আবরণির মধ্যবর্তী স্থানে সাইটোপ্লাজম ও একটি সুস্পস্ট নিউক্লিয়াস থাকে।
০ কোষের স্ফীত অংশের কেন্দ্রস্থলে অন্তঃআবরণী দ্বারা ঘেরা হিপনোটক্সিন পূর্ণ এবং প্যাচানো সূত্রক সম্বলিত একটি থলি বা নেমাটোসিস্ট থাকে।
০ থলির অগ্রপ্রান্তের সাথে সূত্রকটি যূক্ত থাকে এবং এর গোড়াতে তিনটি বার্ব বা কতকগুলো বার্বিউল থাকে।
০ সূত্রক ও থলির সংযোগস্থলে একটি অপারকুলাম থাকে।
০ নেমাটোসিস্টের চতুর্দিকে সাইটোপ্লাজমের একটি সংকীর্ন স্তর থাকে এবং এই স্তরে কতকগুলো অণূসূত্র জালিকাকারে সজ্জিত থাকে।
০ নিডোব্লাস্ট কোষের মুক্ত প্রান্তের এক পাশে একটু উচু স্থানে একটি নিডোসিল থাকে।
০ এ ছাড়া নেমাটোসিস্টের সাথে একটি ল্যামেলা যুক্ত থাকে।
গঠন ও কার্যের পার্থক্যের জন্য হাইড্রার দেহে চার প্রকার নেমাটোসিস্ট থাকে-
ক}পেনিট্রান্ট খ}ভলভেন্ট গ}স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিনান্ট ঘ}স্টেরিওলিন গ্লুটিনান্ট।

কাজঃ

শিকার ধরা, আত্নরক্ষা ও চলনে সাহায্য করাই এই কোষের প্রধান কাজ।

Wednesday 4 June 2014

CLASSIFICATION OF CHORDATA

ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে যে সমস্ত বিজ্ঞানী কর্ডাটা পর্বের শ্রেনিবিন্যাস করেছেন তাদের মধ্যে Hickman [2011] এর প্রণীত শ্রেনিবিন্যাসটি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করা হলঃ
তিনি কর্ডাটা পর্বকে প্রথমে তিনটি উপ-পর্বে বিভক্ত করেন-

উপ-পর্ব ১ঃUrochordata:[Uros=লেজ + Chordata=রজ্জু]
বৈশিষ্ট্যঃ
১] এরা সামুদ্রিক।
২] এককভাবে বা কলোনি গঠন করে বাস করে।
৩] লার্ভা দশায় লেজ অঞ্চলে নটোকর্ড থাকে কিন্তু পরিনত দশায় লেজ ও নটোকর্ড অদৃশ্য হয়ে যায় এবং মেরুদন্ড সৃষ্টি হয় না।
৪] পরিনিত অবস্থায় এদের দেহ টিউনিক নামক একটি অর্ধস্বচ্ছ কার্বোহাইড্রেটের আবরন দিয়ে ঢাকা থাকে।
৫] গলবিল ফুলকা-ছিদ্র বা স্টিগমাটা বিদ্যমান।

এই উপ-পর্বের চারটি শ্রেনি রয়েছে—

ক] অ্যাসিডিয়াঃ
বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহ স্ফীতকায় বা থলিসদৃশ বা নলাকার।
     ২] টিউনিক স্থায়ী,পুরু ও অর্ধস্বচ্ছ।
     ৩] পরিনত প্রাণী লেজ বিহীন এবং নটোকর্ড অনুপস্থিত।
     ৪] মুখছিদ্র এবং অ্যাট্রিওপোর দেহের মুক্ত প্রান্তের কাছাকাছি থাকে।
     ৫] গলবিলে অসংখ্য ফুলকাছিদ্র উপস্থিত।
উদাহরনঃ Ascidia  mentula


খ] লার্ভাসিয়াঃ
বৈশিষ্ট্যঃ ১] এরা মুক্তজীবী এবং পরিনত প্রাণী বাঁকা ব্যাঙাচি আকৃতির।
      ২] পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে নটোকর্ড ও লেজ থাকে কিন্তু অ্যাট্রিওপোর নেই।
      ৩] এরা সাতার কাটতে পারে না।
      ৪] এদের মাত্র একজোড়া ফুলকাছিদ্র থাকে।
      ৫] সেলুলোজ নির্মিত টিউনিক আবরন অনুপস্থিত।

উদাহরনঃ Oikopleura  dioica


গ] সরবারেসিয়াঃ
বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহ স্ফীতকায় বা নলাকার।
      ২] পরিনত অবস্থায় নার্ভকর্ড থাকে।
      ৩] এরা সাধারনত মাংসাশী।
      ৪] বেনথিক অর্থা   গভীর পানিতে বাস করে।
      ৫] টিউনিক নামক আবরন বিদ্যমান।
উদাহরনঃ Octacnemus  ingolfi



ঘ] থ্যালিয়াসিয়াঃ
বীওশিষ্ট্যঃ ১] এদের দেহ আকৃতি লেবু বা পেপের মত।
       ২] টিউনিক নামক দেহাবরন পাতলা,স্বচ্ছ ও স্থায়ী।
       ৩] মুখছিদ্র ও অ্যাট্রিওপোর দেহের বিপরীত প্রান্তে বিদ্যমান।
       ৪] পরিনত প্রাণীতে লেজ অনুপস্থিত এবং সন্তরনক্ষম।
       ৫] গলবিল দুটি বড় এবং অনেকগুলো ছোট ফুলকারন্দ্র বিদ্যমান।
উদারনঃ Doliolum  danticulatum

উপ-পর্ব-২-Cehpalochordata or Acrania:[Cephalo=মস্তক+Chordata=রজ্জু]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] সামুদ্রিক প্রাণী,দেহ লম্বা,পার্শ্বীয়ভাবে চাপা,দু’প্রান্ত সরু,দেখতে অনেকটা নৌকার মত।
      ২] দেহের সন্মূখ থেকে পশ্চা  পর্যন্ত নটোকর্ড লম্বালম্বি ভাবে অবস্থান করে এবং নটোকর্ড কখনোই মেরুদন্ডে পরিনত হয় না।
      ৩] মুখছিদ্র ওরালহুড দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এবং ওরালহুডে ‘সিরি’ নামক উপবৃদ্ধি থাকে।
       ৪] গলবিলে অসংখ্য ফুলকাছিদ্র থাকে।দেহের দু’পাশে ‘>’ আকৃতির মায়াটোম পেশি পরপর সজ্জিত থাকে।
       ৫] কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থাকলে মস্তিষ্ক ও সুষুন্মাকান্ডে বিভক্ত থাকে না।সুস্পষ্ট করোটি ও চোয়াল অনুপস্থিত থাকায় এদের অ্যাক্রোনিয়েটাও বলা হয়।
উদাহরনঃ Branchiostoma  lanceolatum


উপ-পর্ব-৩-Vertebrata{Vertebra=কশেরুকা/মেরুদন্ডী}

বৈশিষ্ট্য; ১] দেহে ভ্রুণ অবস্থায় নটোকর্ড থাকে।পরিনত অবস্থায় নটোকর্ড মেরুদন্ডে রুপান্তরিত হয়।
      ২] ভ্রুণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।পরিনত অবস্থায় এর অগ্রভাগ মস্তিষ্ক ও অবশিষ্টাংশ স্নায়ুকান্ড গিঠন করে।
      ৩] প্রাথমিক পর্যায়ে গলবিলীয় ফুলকারন্দ্র থাকে যা পরিনত অবস্থায় ফুলকা বা ফুসফুস গঠন করে।
       ৪] মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট করোটিকা দ্বারা সুরক্ষিত,অস্থি বা কোমলাস্থি দ্বারা অন্তকঙ্কাল গঠিত এবং করোটিক স্নায়ু বিদ্যমান।
       ৫] হৃ পিন্ডের অঙ্কীয় দেশে অবস্থিত।রক্তসংবহন তন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির এবং লোহিত কনিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে।

এই উপপর্বকে দু’টি অধশ্রেনি ও ৯টি শ্রেনিতে বিভক্ত করা হয়েছে-

Super class-1.Agnatha/Agnathostomata{Gr.A=বিহীন+gnathos=চোয়াল+stoma=মুখ}

বৈশিষ্ট্যঃ ১] মুখ চোয়াল বিহীন ও চোয়াল যুক্তও হতে পারে।
      ২] আঁইশ ও যুগ্ম পাখাবিহীন।
      ৩] অন্তঃকর্ণে একটি বা দু’টি অর্ধবৃত্তাকার নালি থাকে।
      ৪] করোটি ও অন্তঃকঙ্কাল সম্পূর্ণ কোমলাস্থি নির্মিত।
      ৫] জোড়া ফুলকা রন্দ্র বিদ্যমান।

অ্যাগনাথা অধশ্রেনিকে আবার দু’টি শ্রেনিতে ভাগ করা হয়েছে-

Class-a: Myxini [সাধারন নাম হ্যাগফিস]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] সংবেদনশীল চার জোরা টেন্টাকল যুক্ত প্রান্তীয় মূখ।
      ২] নাসিকা থলি মূখ গহবরে উন্মুক্ত।
      ৩] গলবিলীয় ফুলকা রন্দ্রের সংখ্যা ৫-১৫ জোড়া।
       ৪] বাক্কাল ফানেল অনুপস্থিত।
      ৫] পৃষ্ঠ পাখনা অনুপস্থিত।

উদাহরনঃ Myxine  glutinosa

Class-b-CEphalaspidomorphi: {সাধারন নাম ল্যামপ্রে}

বৈশিষ্ট্যঃ ১] প্রান্তীয় মূখ হর্ণ দাঁতযুক্ত ও চোষন ক্ষমতাসম্পন্ন।
      ২] নাসিকা থলি মুখ গহবরে উন্মুক্ত নয়।
      ৩] গলবিলীয় ফুলকা রন্দ্রের সংখ্যা সাত জোড়া।
      ৪] বাক্কাল ফানেল উন্নত।
      ৫] পৃষ্ঠ পাখনা উপস্থিত।

উদাহরনঃ Petromyzomarinus

Super class-
2.Ganthostomata [Gr.gnathos=চোয়াল]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] মুখে চোয়াল থাকে।
      ২] যুগ্ম উপাঙ্গ উপস্থিত।
      ৩] অন্তঃকর্ণ তিনটি অর্ধবৃত্তাকার নালি থাকে।
      ৪] দেহত্বক আঁইশবিহীন বা আঁইশ,পালক কিংবা লোমযুক্ত।
      ৫] অন্তঃকঙ্কাল কোমলাস্থি বা অস্থি নির্মিত।

এই অধশ্রনিকে আবার সাতিটি শেনিতে বিভক্ত করা হয়েছে-

শ্রেনি-১-Chondrichthyes [Gr.chondros=তরুণাস্থি+ichthys=মাছ]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] এরা সামুদ্রিক এবং দেহত্বকে প্লাকয়েড আঁইশ থাকে।
      ২] অন্তঃকঙ্কাল সম্পূর্ণরুপে কোমলাস্থি নির্মিত।
      ৩] পুচ্ছ পাখনা হেটারোসার্কাল।
      ৪] মুখছিদ্র মস্তকের অঙ্কীয় দেশে অবস্থিত এবং চোয়ালে অসংখ্য সারিবদ্ধ দাঁত থাকে।
      ৫] কানকো বা অপারকুলাম অনুপস্থিত এবং মস্তকের উভয় পার্শ্বে মুক্তভাবে ৫-৭ জোড়া ফুলকা ছিদ্র থাকে।

উদাহরনঃ Scoliodon  sorrakowah, Pristis pectinata[করাত হস্নগর],ইত্যাদি।

শ্রেনি-২-Actinopterygii[Gr.aktis=রশ্মি+pteryx=পাখনা]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহত্বক সাধারনত সাইক্লয়েড বা টিনিয়েড দ্বারা আবৃত।
      ২]পুচ্ছ পাখনা হোমোসার্কাল ধরনের।
      ৩] অন্তঃকঙ্কাল অস্থি নির্মিত।
      ৪] এদের পখনা অস্থিময় বা কন্টকযুক্ত রিশ্মিবিশিষ্ট।
      ৫] উদর গহবরে পটকা থাকতে পারে।

উদাহরনঃ Labeo  rohita, Tenualosa  ilisha, Cirrhina  mrigala,Anabus  testudineus ইট্যাদি।

শেনি-৩-Sarcopterygii[Gr.sarx=মাছ+pteryx=পাখনা]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহত্বক গ্যানয়েড ধরনের আঁইশে আবৃত।
      ২] পুচ্ছ পাখনা ডাইফিসার্কাল ধরনের।
      ৩] অন্তঃকঙ্কাল অস্থি নির্মিত।
      ৪] লোববিশিষ্ট যুগ্ম পাখনা বিদ্যমান।
      ৫] উদর গহবরে পটকা থাকে।এদেরকে জীবন্ত ফসিলও বলা হয়।

উদাহরনঃ Latimeria  chalumnae, Neoceratodus  forstra ইত্যাদি।

শ্রেনি-৪-AMphibia[Gr.Amphi=উভয়+Bios=জীবন]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] লার্ভা দশা পানিতে এবং পূর্ণাঙ্গ দশা স্থলে অতিবাহিত করে।[ব্যতিক্রম Necturus জলবাসী, Hyla বৃক্ষবাসী]
      ২] ত্বক নগ্ন,সিক্ত ও গ্রন্থিময়,লার্ভা দশায় ফুলকা এবং পরিনত অবস্থায় ফুস্ফুস,ত্বক ও গলবিলীয় মিউকাস পর্দার সাহায্যে শ্বাসকার্য পরিচালনা করে।
      ৩] কিছু উভয়চরের লিপ্তপদ[Racophorous] থাকে আর অন্যান্যদের অগ্রপদে চারটি এবং পশ্চা  পদে পাঁচটি আঙ্গুল থাকে।
      ৪] হৃপিন্ড তিন প্রকোষ্ঠে বিভক্ত এবং শীতল রক্ত বিশিষ্ঠ।
      ৫] নিষেক বাহ্যিক,জীবনচক্রে ব্যাঙাচি ও অ্যাক্রোলোটাল লার্ভা দশা দেখা যায়।

উদাহরনঃ Rana  tigrina, Hyla  arborea ইত্যাদি।

শ্রেনি-৫.Reptilia[reptilis=হামাগুড়ি]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] ত্বক শুষ্ক এপিডার্মাল আঁইশ বা শক্ত প্লেট দ্বারা আবৃত এবং দু’জোড়া পদের প্রতিটিতে পাঁচটি করে নখর যুক্ত আঙ্গুল বিদ্যমান।[সাপ ব্যাতীত]
      ২] হৃ পিন্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট,তবে সাইনাস ভেনোসাস থাকে কিন্তু কোনাস আর্টেরিওসাস থাকে না।
      ৩] শ্বসন অঙ্গ ফুস্ফুস,অধিকাংশই ডিম পাড়ে অর্থা  অভিপেরাস।
      ৪] অবসারণী ছিদ্র তিন প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট এবং আড়াআড়ি ভাবে অবস্থিত।
      ৫] ভ্রুণ অ্যামনিয়ন ও অ্যালানটয়েস নামক পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।

উদাহরনঃ Calotes  versicolor[গিরগিটি]Hemidactylus  flaviviridis[টিকটিকি] Crocodylus  porosus[কুমির]ইত্যাদি।

শ্রেনি-৫.Aves[Ave=পাখি]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহ পালক দ্বারা আবৃত এবং অগ্রপদ ডানায় রুপান্তরিত হয়।
      ২] চোয়াল দন্তবিহীন চঞ্চুতে রুপান্তরিত এবং অস্থি হালকা ও নিউম্যাটিক।
      ৩] ফুস্ফুস থেকে অতিরিক্ত বায়ুথলি সৃষ্টি হয়।
      ৪] হৃ পিন্ড সম্পূর্ণরুপে চার প্রকোষ্ঠে বিভক্ত।
      ৫] একমাত্র ডান সিস্টেমিক মহাধমনি বিদ্যমান।

উদাহরনঃ Columba  livia[কবুতর],Copsychus  saularis[দোয়েল],Gallus gallus[মুরগি],Passer  domesticus[চড়ুই]ইত্যাদি।

শ্রেনি-৭.Mammalia[Mamma=স্তন্য]

বৈশিষ্ট্যঃ ১] দেহ হালকা বা ঘন লোমে আবৃত[ব্যাতিক্রম তিমি]অমরা বা প্লাসেন্টা গঠিত হয়[ব্যাতিক্রম-প্রোটোথেরিয়া]এবং করোটিক স্নায়ু ১২ জোড়া।
      ২] বহিঃকর্ণে পিনা এবং বক্ষ ও উদর গহবরের মাঝখানে ডায়াফ্রাম/মধ্যচ্ছদা থাকে।
      ৩] অধিকাংশই বাচ্চা প্রসব করে এবং বাচ্চা মাতৃদুগ্ধ পান করে [ব্যাতিক্রম প্লাটিপাস ডিম দেয় কিন্তু বাচ্চা মাতৃদুগ্ধ পান করে]।
      ৪] ঘর্মগ্রন্থি,সিবেসিয়াস গ্রন্থি,স্তন্যগ্রন্থি থাকে।
      ৫] লোহিত রক্তকনিকা গোলাকার,দ্বি-অবতল ও পরিনত অবস্থায় নিউক্লিয়াসবিহীন[ব্যাতিক্রম –উটডিম্বাকার ও নিউক্লিয়াস যুক্ত]এবং একমাত্র বাম সিস্টেমিক ঢমনি বিদ্যমান।

উদাহরনঃ Panthera  tigris[বাঘ],Axis  axis[হরিণ]