Pages

Wednesday, 28 November 2018

অণুজীব


১) অণুজীব বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ জীব জগতে যে সমস্ত জীবদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে দেখা যায় না , এই ধরনের জীবসমূহকে অণুজীব বলে আখ্যায়িত । যেমনঃ ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
২) ভাইরাসকে অকোষীয় বস্তু বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভাইরাস দেহ রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত । এছাড়াও ভাইরাস দেহে কোষপ্রাচীর , কোষ ঝিল্লি , সাইটোপ্লাজম , বিভিন্ন সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু  এবং নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত । তাই ভাইরাসকে অকোষীয় বস্তু বলা হয়।
৩) পরজীবী বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ যেসব জীব জীবনধারণের জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অন্যপ্রজাতির জীবের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে পরজীবী বলে ।
৪) সুপ্তাবস্থা বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ কোন রোগের জীবাণু পোষকদেহে প্রবেশ করার পর থেকে রোগের লক্ষন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে সুপ্তাবস্থা বলে ।
৫) ভিরিয়ন ও ভিরিয়য়েড বলতে কি বুঝায় ?
উত্তরঃ ভিরিয়নঃ নিউক্লিক এসিডকে ঘিরে অবস্থিত ক্যাপসিড সমন্বয়ে গঠিত একটি সংক্রমণক্ষম সম্পূর্ণ ভাইরাস কণাকে ভিরিয়ন বলে।
ভিরিয়য়েডঃ এক সূত্রক বৃত্তাকার আর এন এ অণু যা কয়েকশত নিউক্লিওটাইড নিয়ে গঠিত , যা কেবলমাত্র উদ্ভিদ দেহেই পাওয়া যায় এবং উদ্ভিদ পোষকের এনজাইম ব্যবহার করে সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদের ভিরিয়য়েড বলে।
৬) ব্যাক্টেরিওফায বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে সকল ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার কোষাভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করে সেগুলোকে ব্যাক্টেরিওফাজ বা T2 ফাজ বলে ।
) এনভেলপ বলতে কি বুঝ ?
উটরঃ সাধারনত প্রানী ভাইরাসের ক্ষেত্রে  নিউক্লিওক্যাপসিড কণার বাইরে যে বহিরাবরণ থাকে তার নাম এনভেলপ
) ক্যাপসিড কী ?
উত্তরঃ ভাইরাস দেহের মধ্যভাগে নিউক্লিক এসিডকে ঘিরে থাকা প্রোটিন আবরনকে ক্যাপসিড বলে
) ক্যাপসোমিয়ার কী ?
উত্তরঃ প্রকৃতপক্ষে ক্যাপসিড অসংখ্য প্রোটিন সাব-ইউনিট বা উপ-একক নিয়ে গঠিত , এগুলোকে ক্যাপসোমিয়ার বলে
১০) নিউক্লিওয়েড বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ক্যাপসিড মধ্যস্থ নিউক্লিক এসিড যা একসূত্রক বা দ্বিসূত্রক ডিএনএ বা আরএনএ নিয়ে গঠিত ভাইরাসের বংশগতি বস্তু
১১) ভিরিয়ন কী ?
উত্তরঃ ক্যাপসিড আবরন দ্বারা আবৃত নিউক্লিক এসিড যুক্ত সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস
১২) ভিরয়েড কী ?
উত্তরঃ আরএনএ খন্ডক নিয়ে গঠিত উদ্ভিদ ভাইরাস যা পোষকদেহে বংশবৃদ্ধি এবং রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম
১৪) প্রিয়ন কী ?
উত্তরঃ নিউক্লিক এসিডবিহীন প্রোটিন আবরন বিশিষ্ট ভাইরাস যা পোষক কোষের জিনোমে প্রবেশ করে নতুন প্রিয়ন সৃষ্টি করতে পারে এবং পোষক দেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে
১৫) পেলপোমিয়ার কী ?
উত্তরঃ এনভেলপের গঠনগত একককে পেলপোমিয়ার বলে
১৬) লাইটিক চক্র বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং অপত্য ভাইরাসগুলো পোষক দেহ বিদারণ করে বাহিরে মুক্ত হয় তাকে লাইটিক চক্র বলে E.coli  নামক ব্যাকটেরিয়ায় T2 ফাজ লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সংখ্যাবৃদ্ধি করে।
১৭) লাইসোজেনিক চক্র বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার ফাজ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার দেহে প্রবেশ করে ভাইরাল ডিএনএ টি ব্যাকটেরিয়াল ডিএনএ অণুর সংগে একত্রে  যুক্ত হয়ে  প্রতিলিপি গঠনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ভাইরাস হিসাবে ব্যাকটেরিয়া কোষের বিদারণ ঘটিয়ে মুক্ত হয় না তাকে লাইসোজেনিক চক্র বলে।E.coli  ব্যাকটেরিয়া আক্রমনকারী ল্যামডা ফায এ লাইসোজেনিক চক্র দেখা যায়।
১৮) ভাইরাস বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন নিয়ে গঠিত অতি আণুবীক্ষণিক বস্তু যা জীবদেহের অভ্যন্তরে সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে তাকে ভাইরাস বলে।
১৯) ফায বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ফায একটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ ভক্ষন করা । প্রকৃত অর্থে ফায হল ঐ সকল ভাইরাস যারা জীবিদেহে অবস্থিত রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করে ।
২০) ইমাজিং ভাইরাস বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যেসব ভাইরাস আদি পোষক থেকে নতুন পোষক প্রজাতিতে রোগ সৃষ্টি করে তাদেরকে ইমাজিং ভাইরাস বলে।
২১) ভাইরাসকে অকোষীয় বস্তু বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ ভাইরাস দেহে কোষপ্রাচীর , কোষ ঝিল্লি , সাইটোপ্লাজমীয় আঙ্গাণু এবং নিউক্লিয়াস নেই । এদের দেহ শুধুমাত্র রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গিঠিত , এজন্য ভাইরাসকে অকোষীয় বস্তু বলা হয়।
২২) ইকলিপস কাল কী ?
উত্তরঃ পোষক ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করার পর থেকে যে সময় পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ অপ্ত্য ভাইরাস সৃষ্টি না হয় সেই সময়কালকে ইকলিপস কাল বলে ।
২৩) ট্রান্সমিশন কী ?
উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে বিভিন্ন মাধ্যমের সহায়তায় ( যেমন ; বায়ু , পানি ,হাচি ,কাশি , বীজ , কীটপতপঙ্গ ইত্যাদি ) ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়াকে ট্রান্সমিশন বলে ।
২৪) জন্ডিস কী ?
উত্তরঃ ভাইরাস হেপাটাইটিসের কারনে জন্ডিজ হয়ে থাকে ।
২৫) হেমোরেজিক ডেঙ্গু বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ ডেঙ্গুজরের জটীলতা থেকে হেমোরেজিক হয়ে থাকে । এ অবস্থায় কয়েকদিন পরপর রোগীর নাক , মুখ , দাতের মাড়ি ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরন দেখা যায় । এছাড়াও রক্তের প্লাটিলেট খুব কমে যায় , রক্তবমি হয় এবং চোখে রক্ত জমাট বাধতে দেখা যায়।
২৬) নিউক্লিওক্যাপসিড কী ?
 উত্তরঃ ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিডের অণু প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে যে বিশেষ গঠন তৈরি করে ।
২৭) ভাইরাসকে জীব বলা যায় না কেন ?
উত্তরঃ জীব হতে হলে কোষীয় হতে হয় । কিন্তু ভাইরাসের দেহে কোষপর্দা ও প্রোটোপ্লাজম না থাকায় অকোষীয় । তাছাড়া সজীব কোষের বাইরে এদের কোন জীবনের লক্ষন প্রকাশ পায় না বা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না ।
২৮) লাইসিস বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ T2 ফাজের সংখ্যাবৃদ্ধির শেষ পর্যায়টি হচ্ছে লাইসিস ।এই পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীর বিগলনের মাধ্যমে নতুন T2 ফাযগুলো বাইরে উন্মুক্ত হয় ।
২৯) হেপাটাইটিস রোগের লক্ষন কী কী ?
উত্তরঃ ক) জ্বর , মাথা ব্যথা , ক্ষুধামন্দা ।
খ) অরুচি , বমি বমি ভাব ,দূর্বল বোধ ইত্যাদি
গ) প্রস্রাব হলুদ , চোখ ও হাতের তালু হলুদ , পেটে ও পায়ে পানি জমে ।
ঘ ) রোগের শেষ পর্যায়ে লিভার নষ্ট হয় এবং লিভার ক্যান্সার হয় ।
৩০) ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষঙ্গুলি কী কী ?
উত্তরঃ ক) হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর ।
খ) তীব্র মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা ।
গ) কোমর , মাংসপেশীতে প্রচন্ড ব্যথা ।
ঘ) অনেক সময় দাতের মাড়ি ও নাক দিয়ে রক্তক্ষরন হয়।
৩১) হেপাটিক রোগের তীব্রতা কিভাবে নির্ণয় করা যায় ?
উত্তরঃ রক্তে বিলুরুবিনের পরিমাণ , এ এল টি , প্রোথোম্বিন টাইম , অ্যালবুমিন , আলট্রাসনোগাম  এবং ভাইরাস জীবাণু অণুসন্ধানের মাধ্যমে এই রোগের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়।
৩২) রক্তের কণিকা দ্বারা কিভাবে ভাইরাসের রোগ নির্ণয় করা যায় ?
উত্তরঃ  ক)  রক্তের শ্বেতকণিকা ৪০,০০০/mm3 এর নিচে নেমে গেলে ।
খ) অনুচক্রিকার সংখ্যা ১,৫০,০০০/mm3 এর অনেক নিচে নেমে গেলে ।
গ) লিম্ফোসাইটের সংখ্যা ৩,৫০০/mm3 থেকে বৃদ্ধি পেলে ।
৩৩) অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করে এমন দুটি ভাইরাসের নাম লিখ ।
উত্তরঃ  ক) Xymophage virus অ্যালকোহল শিল্পে ব্যবহৃত ঈস্টকে ধ্বংস করে।
 ৩৪) চিকুগুনিয়া রোগের বাহকের নাম ও লক্ষন ব্যাখ্যা কর ।
উত্তরঃ বাহক- ১) Aedes aegypti
                    2) Ades albopictus
লক্ষনঃ ক) প্রচন্ড জ্বর , বমি বমি ভাব , মাথাব্যথা ।
খ) শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং লাল র‍্যাশ দেখা দেয় ।
গ) মাংসপেশী , অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া ।


Friday, 19 February 2016

"হৃদয়ের প্লেটফ্রমে চুইঙ্গামের মত লেগে থাকা কিছু স্মৃতিকথা"

আশা-আকাঙ্খার দোলচালে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় হারিয়ে ফেলেছিলাম জীবনের সত্যিকারের আনন্দমূখর দিনগুলি।প্রানের মেলার প্রশান্তিকর হাওয়ায় স্মৃতির বাজারে এখন প্রানিবিদ্যা বিভাগ যেন এক তরতাজা রজনীগিন্ধার ঝাড়।
স্মৃতির সমুদ্রে আজ ভেসে উঠে ক্লাস ফাকি দিয়ে অডিটরিয়ামের বারান্দায় অবিরাম কার্ড খেলা।মাঝে মাঝে উপস্থিত থাকলেও মেতে উঠতাম ক্লাসমেটসদের সাথে লুকুচুরি আর ছলচাতুড়ির খেলায়।লান্স ব্রেকে আক্রমন চলত অন্যদের খাবারে।তবে আমার নিজস্ব খাবারের ব্যাপারে কখনো এমন হতনা।কারন কি?আমাকে ভয় পেত?না, তা নয়।মিউজিয়াম থেকে সংগৃহীত মৃত মানুষের মাথার খুলিতে চানাচুর-মুড়ি মিশিয়ে খেতাম বলে।হা,হা,হা কতটা গাধা হলে মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে!

আনন্দঘন পরিবেশে এবং আন্তরিকতার সাথে ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে জ্ঞান বিতরনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাগন সবসময়ই সচেষ্ট ছিলেন।কত কেঁচো,টিকটিকি,তেলাপোকা ব্যাবচ্ছেদ করতে গিয়ে করেছি শিরচ্ছেদ।খাল,বিল,নদী,নালা,ড্রেনের নোংরা আবর্জনা ঘেটে ঘেটে চিনতে হয়েছে পোকা-মাকড়।যদিও নিজেই নিজের কাছে আজও রয়েছি অচেনা।মাছ কাটতে কাটতে আর খেতে খেতে শিখেছি বিভিন্ন অঙ্গ,অঙ্গতন্ত্র ও হাড়ের নাম।শুকরিয়া এইটুকু যে আমার শরীর কেটে-চিড়ে  শিখতে হয়নি মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও অঙ্গতন্ত্রের নাম। 

স্বপ্ন স্রষ্টা মনটা মাঝে মাঝে হারিয়ে যেত বহুমুখী চাহিদার চোঁখে চোঁখ রেখে।তাই ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়াতাম এবং অবলোকন করতাম নিঃশব্দতার প্রাচীরের ফাটলে,আনাচে কানাচে কতইনা কপোত কপোতির প্রেম চর্চা।ছলনার অন্তরালে বেঁচে থাকা কিছু নিষ্পাপ অন্তরের ক্রন্ধন।মনের অপ্রাপ্ত প্রেমলীলা সাঙ্গ করেছি সিগারেটের নেশায়।কারন সিগারেট আর মেয়ে মানুষ দুটুই হার্টের জন্য ক্ষতিকর।তাই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছিলাম প্রথমটিকে এবং অক্সিজেনের পরিবর্তে বেদনার কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে পূর্ণ করেছি নিষ্পাপ ফুসফুসটিকে।

ক্লাস ,ব্যবহারিক করতে করতে যখন ক্লান্ত তখন জীবননের একঘেয়েমী কাটাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আনন্দভ্রমনে কক্সবাজার।কোথায় একটু আনন্দ ফুর্তির সাথে ঘুরে বেড়াব তা না, সারাদিন শুধু এটা কূড়াও, ওটা কুড়া্‌ও, প্রিজার্ভ ক্‌র, স্বন্ধ্যায় রিপোর্ট কর।পরে ক্লাসমেটসদের নিকট জানতে পারলাম এই ভ্রমনের নাম ছিল শিক্ষা সফর, নট আনন্দ সফর।
এরই মধ্যে একদিন মহেশখালীতে যেতে হয়েছিল সকালে নাস্তার পর। টয়লেটে যাওয়ার কথা মনে ছিলনা।মহেশখালী যেতে হয়েছিল ট্রলারে চেপে।ট্রলারের গতি যত বাড়তে থাকল সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকল আমার নিন্মচাপ।কি আর করা,কোন রকমে চেপে চুপে ঘর্মাক্ত শরীরে মহেশখালী পৌছেই ট্রলার থেকে লাফিয়ে নেমে  দৌড় কিন্তু বিধি বাম,শুধু বালিয়াড়ী, কোথাও কোন প্রকার আড়াল পেলামনা আমার কষ্টের মুক্তির জন্য।শেষ- মেষ আর টিকতে না পেরে উন্মুক্ত প্লেসেই করলাম বর্জ্যপাত।ইস, সেকি লজ্জা!ভাগ্যিস জাহিঙ্গাটা ছিল, তা না হলে মূল্যবান কাজটুকু কিভাবে সারতাম!

মহেশখালী থেকে ফেরার পর টেকনাফ টু সেণ্টমার্টিন দ্বীপ।এটাকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নাম না দিয়ে বিলাতি কুত্তার দ্বীপ দিলেই মনে হয় ভাল হত।সেখান থেকে  পান্থনিবাস টু চট্রগ্রাম টু ফয়েজলেক। আমি ভেবেছিলাম আমার খালাত ভাই ফয়েজ হয়ত এখানে প্রথমে এসেছিলাম তাই তার নামানুসারে এই লেকের নামকরন করা হয়েছে কিন্তু পরে নোটিসবোর্ড পড়ে জানলাম ভিন্ন কথা।সেখান থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আসা হল ময়মনসিংহ।বাসায় এসে কখন কিভাবে ঘুমিয়েছিলাম মনে নেই, বাবার গলার শব্দে হুড়মুড় করে উঠে বসলাম বিছানায়।মনে হল আমি এতক্ষন স্বপ্নের মধ্যে ছিলাম।যাক বাবা বাঁচা গেল। কিন্ত কলেজে যেয়ে মনে হল আসলে কোন স্বপ্নই দেখিনি।কলজে এ্যাস্কাশন নিয়ে চলছে ডিস্কাশন।আমি ডিস্কাশন করে পেলাম জীবন থেকে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ দিন হারিয়ে ফেলেছি।

স্যার ও  ম্যাডামদের কঠোর শাসনের বেড়াজালে আটকা পড়ে কিছু অন্তত শিখেছিলাম।তা না হলে জীবনটা হয়ত স্পয়েল হয়ে যেত। মনে মনে ভাবি উনাদের কথা যদি সঠিকভাবে পালন করতাম তাহলে আরও ভালভাবে বাঁচতে পারতাম।তাই এখন নিজে নিজেই বলি-
"মনরে মন যখন সময় ছিল তখন বুঝলিনা
এখন চোঁখের পানি ঝড়ালে কোন লাভ হবেনা"।

Tuesday, 16 February 2016

"মনের ক্যানভাসে কিছু রোমাঞ্চকর স্মৃতি"


"মনের ক্যানভাসে কিছু রোমাঞ্চকর স্মৃতি"
নদীর স্রোতের মত হৃদয়ের আঙ্গিনায় ভেসে বেড়ায় আজও স্মৃতি বিজরিত আনন্দঘন সেই দিনগুলি।জীবনের বর্নিল পথ খুঁজতে ১৯৯১ সালে এসেছিলাম আনন্দমোহন কলেজের প্রানীবিদ্যা বিভাগে।আনোয়ার মালিক স্যার,জয় গোপাল স্যার,সাইফুল স্যার,নজরুল স্যার,মজিদ স্যার,সুব্রতনন্দী স্যার, সুফিয়া বুলবুল ম্যাডাম,মনোয়ারা ম্যাডাম,বিলকিস ম্যাডাম,নারগিস ম্যাডামদের কঠোর শাসন আর অপ্রত্যাশিত ভালবাসা নিয়ে শুরু হয়েছিল সন্মুখে পথচলা।
ছাত্র হিসাবে কখনোই মেরিটরিয়াস ছিলামনা তবে দুষ্টের শিরিমণী ছিলাম এটা সত্য।শুধু যে দুষ্ট তা নয় এতই বিবেকহীন ছিলাম যে, ক্লাসমেটস এবং সিনিয়র ভাইদের নিয়ে ম্যাডামদের বাসা থেকে তৈরী করে আনা দুপুরের খাবারটুকু পর্যন্ত লুকিয়ে খেয়ে নিতাম আমরা একশ্রেনীর খাদকের দল।পরবর্তীতে একদিন সুফিয়া বুলবুল ম্যাডাম একটি বড় হট বক্স নিয়ে কলেজে আসেন।সেদিন কড়া নজরদারিতে বক্সের কাছেও ভিরতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা দুপুর একটায় অফিস রুমে ডাক পরল খাদক দলের।যেয়ে দেখলাম হট বক্সের ঢাকনা উলটানো বিরিয়ানীর মৌ মৌ গন্ধে পেটের ক্ষুধা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠ্‌ল, আর তখনই ম্যাডাম ঘোষনা করলেন এগুলি তোমাদের জন্য।লাজ-লজ্জা,বোধ-বিচার ভুলে গিয়ে হুমড়ে পড়লাম, ম্যাডামদের খাওয়া হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করিনি।এই খাদকের দল থেকে আনোয়ার মালিক স্যার থেকে শুরু করে কেহই রেহাই পায়নি এমনকি জয় গোপাল স্যারকেও রমজান মাসে উনার বাসায় ইফতারের দাওয়াত খাওয়াতে হয়েছে।
তেঁতুলের স্বাদ সমৃদ্ব স্মৃতিগুলিতে লবন আর সুগার মিশিয়ে আঁচার বানিয়ে রেখেছিলাম কখনো সুযোগ পেলে বলব বলে।আজ না হয় বলেই ফেলি, আমি যে শুধু দষ্টুমি করেছি তাই নয় অবদানও কিছুটা ছিল যা এখনও অম্লান.১৯৯২ সালে আমার প্রচেষ্টায় ,ক্লাসমেটসদের সহযোগিতায়, স্যার ও ম্যাডামদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বিজ্ঞান মেলায় প্রানিবিদ্যা বিভাগ ছিনিয়ে এনেছিল দ্বিতীয় স্থান।ততপরবর্তীতে আমাদের সময়কালে বড়,ছোট সকল বন্ধুরা মিলে বলিবলে ছিনিয়ে এনেছিলাম চ্যাম্পিয়ানশীপ।ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জি এস পদে অংশগ্রহন করে নিজের গদম্বে নেতার ছিল লাগিয়ে হুলো বিড়ালের মত বাঘের মাষী সেজেছিলাম।যদিও সেই নির্বাচনে আমি জামানত হারিয়েছিলাম।
এই বিভাগে আমার অন্তরের অন্তস্থলের একজন বন্ধু ছিল সালাম ভাই।প্রেক্টিক্যালের এমন কোন ইন্সট্রুমেন্ট ছিলনা যা আমার বাসায় ছিলনা।কিনেছি?না,চুরি করেছি?না,সালাম ভাইয়ের সাথে শল্লা-পরামর্শের মাধ্যমে চুপি চুপি নিয়ে এসেছিলাম।আমি ভেবেছিলাম আমার কিছু ক্লাসমেটস ছাড়া আর কেহ হয়ত ব্যাপারটি জানে না।কিন্তু অনার্স পরীক্ষার পর জয় গোপাল স্যার যখন ডেকে বললেন মিজান "তোমার নিকট কলেজের এক সেট ইন্সট্রুমেন্ট আছে সালাম তোমার বাসায় যেয়ে
নিয়ে আসবে"।সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম স্যার জানত এবং অন্তর থেকে আমাকে কতটুকু ভালবাসত।নিয়েই গিয়েছি উনাদের কাছ থেকে মুঠি মুঠি করে অথচ একবারও খবর নেইনি উনারা কেমন আছেন।কতটুকু স্বার্থপর আমি!
আজ স্মৃতির বাজারে মনের গুপ্ত কথাগুলো হতে চায় উন্মুক্ত।আর প্রেম সে ত শুধু চেষ্টার অতীত কখনো সফলতার মুখ দেখেনি।সাবান আর কসমেটিক্স দিয়ে কত হাজারবার নিজেকে পরিষ্কার করেছি কিন্তু স্কিনের কালারটি পরিবর্তন করতে পারিনি বলে প্রেমটা রয়ে গেছে প্রানীবিদ্যা বিভাগের করিডোরে আজও অচেনা।হৃদয়ের ময়নাতদন্তের রিপোটে লেখাছিল "প্রেম ভাগ্য শনির দশা প্রাপ্ত"।
স্বপ্নের লাটাই ঘোরাতে ঘোরাতে পেরিয়ে এসেছি প্রানি বিজ্ঞান বিভাগের বর্ধিত দরোজা।স্যার,ম্যাডাম, সিনিয়র এবং জুনিয়র ভাই বোনদের মুখের হাসি আর ব্যবহারের আন্তরিকতা আমার এই সংবেদনশীল হৃদয়কে এখনো মাঝে মাঝে আন্দোলিত করে।সময়ের ক্ষুধার্থ ছোবলে অর্থ-বিত্ত আর পরিবারের নেশায় কখনো খবর নেয়া হয়নি কে কেমন আছে বা আছেন।আজ ৪৫ এসে ঘুরে তাকিয়ে দেখি কতটা মোহ আর আবেগ দিয়ে এখনো ভালবাসে আমার সিনিয়র,জুনিয়র সকল ভাই বোনেরা।ছোট বেলায় পড়েছিলাম"প্রান থাকলে প্রানি হওয়া যায় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায়না"।আমি আর কবে মানুষ হব!

Wednesday, 3 February 2016

women's right

mohammad kazi matiur rahman

3:00 PM (0 minutes ago)
to me

Bangladesh: Government Ordered to Protect Women’s Right Not to Wear Veil

(Sept. 2, 2010) The High Court of Bangladesh issued an order on August 23, 2010, directing the government to ensure that women are not forced to wear the veil or other religious dress in educational institutions and public offices. The ruling was issued in response to a petition filed by two Supreme Court lawyers when students were barred from attending classes at a state-run women's college in northern Bangladesh for not wearing veils. According to a news report, “[t]he high court judges passed the order directing that wearing religious attire should be the personal choice of the students or the employees. No one can be forced to wear them.” (Veil Can't Be Forced: HC, THE DAILY STAR (Aug. 23, 2010), http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=151876.)
The High Court also directed the college principal to appear before the bench on August 26, 2010, to explain the matter. In addition, the court ordered the government to explain why “imposition of restriction on cultural activities and sports in the educational institutions and offices and forcing the female students to wear veil [sic] should not be declared illegal.” (Id.)
In a decision issued in connection with a complaint lodged by a school headmistress who was verbally assaulted by a government official for not covering her hair during a staff meeting, the High Court ruled in April 2010 that women should not be forced to wear the veil or to cover their heads in educational institutions or other work places. (Id.)

Wednesday, 2 July 2014

Asexual Reproduction of Hydra

Reproduction of Hydra
যে জৈবনিক প্রক্রিয়ায় কোন জীব তার একক দেহ থেকে সরাসরি বা পুংগ্যামিট ও স্ত্রীগ্যামিট সৃষ্টি ও তাদেরমিলনের মাধ্যমে নিজেদের অনুরুপ গুনাবলি সম্পন্ন ও উর্বর অপত্য সৃষ্টি করে বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতি রক্ষা করে তাকে প্রজনন বলে।হাইড্রাতে দুই ধরনের প্রজনন লক্ষ কয়া যায়-


গ্যামিট সৃষ্টি ছাড়াই যে প্রক্রিয়ায় জীব তার একক দেহ বা দেহের অংশবিশেষ থকে নিজেদের অনুরুপ অপত্য সৃষ্টিরমাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতি রক্ষা করে তাকে অযৌন প্রজনন বলে।অনুকূল পরিবেশে হাইড্রায় দুই প্রকার প্রজনন দেখা যায়-


১)Budding:

০ এই প্রক্রিয়ার শুরুতে হাইড্রা এর দেহের নিন্মাংশে এপিডার্মিসের কিছু ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ ক্রমাগত বিভাজিত হয়েএকটি স্ফীত অংশের সৃষ্টি করে।
০ ইহা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ফাপা নলাকার মুকুলে পরিনত হয়।এর দেহপ্রাচীর এপিডার্মিস,মেসোগ্লিয়া ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসনিয়ে গঠিত এবং কেন্দ্রস্থলে মাতৃদেহের সিলেন্টেরন প্রবিষ্ট থাকে।
০ মাতৃ হাইড্রা হতে খাদ্য গ্রহন করে মুকুল বৃদ্ধি পেতে থাকে।ফলেমুকুলের শেষ প্রান্তে কর্ষিকা, হাইপোস্টোম এবং মুখছিড্রের আবির্ভাব ঘটে।
০ বর্ধনশিল মুকুলের সিলেন্টেরন মাতৃ হাইড্রা এর সিলেন্টেরনের সাথে যুক্ত থাকে এবং মুকুলের মাধ্যমে মাতৃদেহ থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে ধীরে ধীরে অপত্য হাইড্রায় পরিনত হয়।
০ মুকুলটি পরিপক্ক হলে মুকুল ও মাতৃ হাইড্রার সংযোগস্থলে খাজের সৃষ্টি হয় এবং এই খাজ ক্রমশ উভয় দিক থেকে অনুপ্রবেশের ফলে অপত্য হ্যড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন শুরু করে।
০ অনেক সময় পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক মুকুল সৃষ্টি হয়।আবার কোন কোন সময় শিশু হাইড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে নতুন মুকুল সৃষ্টি করে।
০ ফলে একই সাথে পরপর যুক্ত অবস্থায় একাধিক হাইড্রা শেকলের আকারে অবস্থান করে।এরুপ অবস্থানকে কলোনিয়াল হাইড্রা বলে।মুকুলোদগম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগে।

২)Binary Fission:

০ বাহ্যিক কোন অস্বাভাবিক কারনে দেহ খন্ডায়িত হয়ে শিশু হাইড্রা সৃষ্টির মাধ্যমে অযৌন প্রজনন সম্পন্ন করলে তাকে দ্বি-বিভাজন বলে।
০ আকস্মিক কোন কারনে হাইড্রা এর দেহ দুই বা ততোধিক খন্ডে বিভক্ত হলে প্রতিটি খন্ডে একটি শিশু হাইড্রা পরিনত হয়।
০ এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অংশের ইন্টারস্টিসিয়াল কোষ ড্রুত গতিতে বিভাজন ও রুপান্তর ঘটিয়ে হারানো অংশের পুনর্গঠন সম্পন্ন করে শিশু হাইড্রার বিকাশ ঘটায়।
কাজেই দ্বি-বিভাজন কোন স্বাভাবিক প্রজনন পদ্ধতি নয়।দ্বি-বিভাজন দুই ভাবে ঘটতে পারে,যেমন-

ক}longitudinal Binary Fission:

০ এক্ষেত্রে হাইড্রা এর দেহ লম্বালম্বিভাবে দুই বা ততোধিক খন্ডে বিভক্ত হলে প্রতিটি খন্ড হতে পৃথক পৃথক শিশুহাইড্রার সৃষ্টি হয়।
০ অনেক সময় শুশু হাইড্রা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অজ্ঞাত কারনে দ্বিওমস্তক বিশিষ্ট হাইড্রাতে পরিনত হয়এবং পরিশেষে অনুদৈর্ঘ্য বিভাজন দ্বারা দুটি অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি করে।

খ}Transverse Binary Fission:

কোন কোন সময় আকস্মিক ও অস্বাভাবিক দেহ সংকোচন বা অন্য কোন কারনে হাইড্রা এর দেহ আড়াআড়ি ভাবে দুই বা ততোধিক খন্ডে বভক্ত হয় এবং প্রতিটি খন্ড হতে পৃথক পৃথক শিশু হাইড্রা সৃষ্টি হয়।
একেই অনুপ্রস্থ দ্বি-বিভাজন বলে।


Tuesday, 1 July 2014

Symbiosis

Symbiosis:

যখন দুটি ভিন্ন প্রজাটিভূক্ত জীব ঘনিষ্ঠভাবে সহাবস্থান করে, কেউ কারো ক্ষতি করে না, বরং উভয়েই উভয়ের
দ্বারা উপকৃত হয়, তখন উক্ত ভিন্ন প্রজাতিভুক্ত জীব দুটিকে পরস্পরের মিথোজীবী এবং তাদের এই ধরনের
সহাবস্থান পদ্ধতিকে মিথোজীবীতা বলে।মিথোজীবী জীব দুটি পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল এবং কেউ কারও
কোন ক্ষতি করে না।মিথোজীবী জীব দুটির মধ্যকার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী, এমনকি চিরস্থায়ী হতে পারে।
মিথোজীবীতা দুটি উদ্ভিদ প্রজাতি, দুটি প্রাণী প্রজাতি বা একটি উদ্ভিদ ও একটি প্রাণী প্রজাতির মধ্যে হতে পারে।
Chlorohydra viridissima Zoochorella মিথোজীবীতার উ কৃষ্ট উদাহরন।

হাইড্রার মিথোজীবীতাঃ

Chlorohydra viridissima নামক সবুজ হাইড্রা এবং Chlorella vulgaris নামক
এককোষী সবুজ শৈবালের মধ্যে মিথোজীবীতা লক্ষ করা যায়। মিথোজীবীতার কারনে
Chlorohydra Zoochorella উভয়ই পরস্পর পরস্পরের নিকট হতে উপকার পেয়ে থাকে।


শৈবাল যেভাবে হাইড্রার নিকট থেকে উপকৃত হয়-
১)শৈবাল হাইড্রার এন্ডোডার্মিসের পুষ্টি পেশিকোষে নিরাপদ আশ্রয়ে বসবাস করে।অর্থা  শৈবালটিকে হাইড্রা
একটি নিরাপদ আশ্রয় দান করে।
২)হাইড্রা এর শ্বসনকালে উ পন্ন কার্বনডাই-অক্সাইড সালোকসংশ্লেষনে ব্যবহার করে শর্করা উ পন্ন করে।
অর্থা হাইড্রা শৈবালটিকে খাদ্য তইরীতে সাহায্য করে।
৩)হাইড্রা এর বিপাকীয় ক্রিয়ার ফলে উ পন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ শৈবাল নাইট্রোজেন সার রূপে
ব্যবহার করে দৈহিক বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টি ঘটায়।

হাইড্রা যেভাবে শৈবালের নিকট হতে উপকৃত হয়-

১)শৈবাল সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় যে শর্করা প্রস্তুত করে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ হাইড্রা খাদ্য
হিসাবে গ্রহন করে।
২)সালোক সংশ্লেষন কালে শৈবালের দেহ থেকে যে অক্সিজেন উ পন্ন হয় হাইড্রা তা শ্বসনে ব্যবহার করে।
৩)হাইড্রা এর দেহে বিপাক কালে যে নাইট্রোজেঙ্ঘটিত বর্জ্য পদার্থ উ পন্ন হয় তা হাইড্রার দেহের জন্য
ক্ষতিকর।শৈবাল এ ক্ষতিকর পদার্থ গ্রহন করে হাইড্রাকে বিষক্রিয়ার কবল থেকে রক্ষা করে।
৪) হাইড্রা এর শ্বসন কালে উ পন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও শৈবাল গ্রহন করে হাইড্রাকে বিষক্রিয়ার
কবল থেকে রক্ষা করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,Chlorohydra Zoochlorella ঘনিষ্ঠভাবে অবস্থান করে,
কেউ কারো ক্ষতি করে না,বরং উভয়ই উভয়ের উপকার করে থাকে।এ ক্ষেত্রে শৈবালটিকে হাইড্রা এর

Life long paying guest নামে আক্ষ্যায়িত করা যায়।ক্ষ্যায়িত করা যায়।

Locomotion in Hydra

Hydra এর চলন

প্রতিটি প্রাণীকে খাদ্য গ্রহন , আত্বরক্ষা এবং প্রজননের জন্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে
স্থানান্তরিত হতে হয়।হাইড্রাও এর ব্যাতীক্রম নয় কিন্তু হাইড্রার  সুনির্দিষ্ট কোন
চলন অঙ্গ নেই।হাইদড়ার দেহপ্রাচীর, কর্ষিকা ও ভেসাল ডিস্ক চলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
পালন করে।নিম্নে হাইড্রার চলন প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলঃ
Somersaulting:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা প্রথমে টার দেহকে গতিপথের দিকে বাকিয়ে চলন তলের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
পরে কর্ষীকার সাহায্যে চলন তলকে আকড়ে ধরে লুপ সৃষ্টি করে।
অতপর বেসাল ডিস্ককে চলন তল থেকে মুক্ত করে কর্ষিকার উপর ভর দিয়ে উল্টাভাবে দাঁড়ায়।
অতঃপর বেসাল ডিস্ক অংশকে গতিপথের দিকে বাকিয়ে চলন তলকে পুনরায় আকড়ে ধরে লুপ তৈরি করে।
পরবর্তীতে কর্শিকাসমুহকে চলন তল থেকে মুক্ত করে ভেসাল ডিস্কের উপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
এই ভাবে ডিগবাজী পদ্ধতিতে হাইড্রা দ্রুত চলন সম্পন্ন করে।
Looping:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা প্রথমে দেহকে বাকিয়ে কর্ষিকার সাহায্যে চলন তলকে আকড়ে ধরে।
পরবর্তীতে লুপ অবস্থায় বেসাল ডিস্ককে চলন তল থেকে মুক্ত করে হাইপোস্টোমের কাছে চলন তলকে আটকে ধরে।
অতঃপর হাইড্রা কর্ষিকা সমুহকে চলন তল থেকে মুক্ত করে ভেসাল ডীস্কের উপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
এই প্রক্রিয়ায় হাইদড়া খুব ধীরে ধীরে চলতে থাকে।সবসময় লুপিং অবস্থায় চলে বলে একে লুপিঙ্গ চলন বলে।
Amoeboid or Gliding:

কোন মসৃন তলবিশিষ্ট স্বল্প দূরত্ব অতিক্রমকালে পাদচাকতির এপিডার্মিসের গ্রন্থিকোষ থেকে মিউকাস নিঃসৃত করে।
অতঃপর পেশি আবরনী কোষের মায়োনিম চলনের দিক বরাবর সম্প্রসারিত হয়।
যার ফলে ক্ষনপদের ন্যায় উপবৃদ্ধি সৃষ্টি হয় এবং পাদচাকতিটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
এই ধরনের চলন অ্যামিবার চলনের সাথে সাদৃশ্য বলে একে অ্যামিবয়েড চলন বলে।
Swimming:

অনেক সময় পাদচাকতিকে ধারক তল থেকে বিমুক্ত করে দেহকে পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
কর্ষিকাগুলো ডান ও বাম দিক বরাবর পানিতে আঘাত হানে এবং ডেউয়ের সৃষ্টি করে।
ফলে হাইড্রা গমন পথের দিকে অগ্রসর হয়,এরুপ চলনে দেহ ও কর্ষিকা বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
Climbing:

পানিতে নিমজ্জিত কোন অবলম্বনে ওঠা নামার জন্য হাইড্রা প্রথমে কর্ষিকা দ্বারা অবলম্বনকে স্পর্শ করে।
স্পর্শ করা মাত্র গ্লুটিনেন্ট নেমাটোসিস্ট নিক্ষিপ্ত হয়ে অবলম্বনকে আকড়ে ধরে।
অতঃপর কর্ষিকার দিক বরাবর মায়োনিম সংকোচিত হয় এবং পাদচাকতি অবলম্বন থেকে বিমুক্ত হয়।
ফলে দেহ বাকা হয় এবং পাদচাকতি কর্ষিকার ঠিক পিছনে পুনঃস্থাপিত হয়।
এভাবে হাইড্রা উপর থেকে নিচে আবার নিচ থেকে উপরে আরোহন করে।
Floating:

মাঝে মাঝে হাইড্রা পাদচাকতির এপিডার্মিসের গ্রন্থিকোষ থেকে মিউকাস নিঃসৃত হয়ে বুদবুদের আকারে
পরিনত হয়।
ফলে হাইড্রা অবলম্বন থেকে বিমুক্ত হয়ে পানির উপরিতলে ভেসে উঠে।
বুদবুদগুলি ফেটে গেলে মিউকাস সুত্রক ভেলার মত কাজ করে এবং হাইড্রা কিছুদুর পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে।
Body Contraction and Expansion:

অনেক সময় হাইড্রা পাদচাকতিকে অবলম্বন থেকে মুক্ত করে এপিডার্মিসের মায়োনিমগুলোর সংকোচন ও
প্রসারনের মাধ্যমে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে।
Spiral movement:

এই প্রক্রিয়ায় হাইড্রা টার দেহ প্রাচীরের এক পাশের কোষগুলোর সংকোচন এবং বিপরীত পার্শের
কোষগুলোর প্রসারনের মাধ্যমে সাপের মত এক ধরনের চলন সম্পন্ন করে।