Entamoeba histolytica
মানুষের
মারাত্ত্বক আমাশয় রোগ সৃষ্টিকারী একটি অন্তঃপরজীবী প্রানী।এটা মানুষের
ডায়রিয়া,রক্ত আমাশা,যকৃতের এ্যাবসেস ইত্যাদি রোগের জন্যও দায়ী।এসকল রোগকে একত্রে
এমিবিয়াসিস বলে।এটার জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায় গুলি আলোচিত হল।
ট্রফোজয়েট
পর্যায়ঃ জীবনচক্রের প্রথম
দশায় সক্রিয় ম্যাগনা এবং নিষ্ক্রিয় মাইন্যুটা ট্রফোজয়েট দেখা যায়।ট্রফোজয়েট
দ্বি-বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন পদ্বতিতে বংশবৃদ্ধি করে।এ সময় প্রথমে নিউক্লিয়াস সহ
সাইটোপ্লাজম মাইটোসিস পদ্বতিতে মাঝ বরাবর বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি
করে।পরে অপত্যকোষগুলি অন্ত্রের মিউকাস স্তরকে খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে বৃদ্ধি লাভ
করে এবং পুনরায় দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবৃধ্বি করে।
প্রি-সিস্টিক
পর্যায়ঃ নতুন সৃষ্ট
অপত্য কোষগুলোর মধ্যে কিছুসংখ্যক অন্ত্রের মিউকাস স্তর ধ্বংস করে।অন্যগুলো পোষককে
আক্রমন না করে অন্ত্রের গহবরে চলে আসে এবং খদ্যগ্রহন বন্ধ করে প্রি-সিস্টিক
পর্যায়ে উপনিত হয়।
সিস্টিক পর্যায়ঃ প্রিসিস্টিক পর্যায়ে পোষক দেহ থেকে বের হবার
পুর্বে এরা দেহের চারিদিকে প্রতিরোধক্ষম আবরন সৃষ্টি করে দেহকে আবৃত করে।এ পর্যায়ে
নিউক্লিয়াসিটি দুইবার মাইটোটিক বিভাজনের মাধ্যমে চারটিতে পরিনত হয়।পরবর্তিতে পরিনত
সিস্ট পোষকের মলের সাথে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মেটাসিস্ট
পর্যায়ঃ পরিনত
সিস্টবহনকারী পানি বা খাদ্যবস্তু কোন সুস্থ মানুষ গ্রহন করলে সিস্টগুলি অবিকৃত
অবস্থায় পাকস্থলি হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে।ক্ষুদ্রান্ত্রের ট্রিপসিন সিস্ট আবরনকে
দ্রবিভূত করে চারটি নিউক্লিয়াস যুক্ত Entamoeba বের হয়ে আসে।এদেরকে মেটাসিস্ট বলে।
পরিনত মেটাসিস্ট
দ্বি-বিভাজনের মাধ্যমে আটটি অপত্য অ্যামিবুলি সৃষ্টি করে এবং অ্যামিবুলিগুলি
বৃদ্ধি পেয়ে ট্রফোজয়েটে পরিনত হয়ে অন্ত্রের মিউকাস কোষ ধবংস করে এর মধ্যে বসবাস শুরু
করে।এটি দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় পুনরায় বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনচক্রের পুনরাবৃত্তি
ঘটায়।
No comments:
Post a Comment