ট্রান্সজেনিক
প্রানী
জীনপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ
প্রযুক্তি দ্বারা উৎপন্ন প্রানীকে
ট্রান্সজেনিক প্রানী বলে।প্রথমে রিকম্বিনেট ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে জীন
সৃষ্টি করা হয় তাকে ট্রান্সজীন বলে। এই নতুনভাবে সৃষ্ট জীনকে মাইক্রোইনজেকশনের
মাধ্যমে প্রানীর ডিম্বানুর নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করানো হয়। পরে এই ডিম্বানুকে অন্য
কোন স্ত্রী-প্রানীর জরায়ুতে রেখে ভূমিষ্ঠ করানো হয়।ভ্রুনের পরিস্ফুটন কালে
ট্রান্সজীনটিকে সর্বদাই নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়।এভাবে গরু , ভেড়াসহ বেসকিছু
ট্রান্সজেনিক প্রানী সৃষ্টি করা হয়েছে।এদের মধ্যে বিখ্যাত হল ট্রেসি নামক ভেড়ী এবং
এথেল নামক ছাগল।ট্রান্সজেনিক প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক
উন্নতজাতের প্রানী সৃষ্টি করা। এ সকল প্রানীর দুধ, মাংস, রক্ত প্রভৃতি দ্রব্য থেকে
অত্যন্ত মূল্যবান ও দুরারোগ্য ব্যাধির ঔষধ অল্প খরচে সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে
।ট্রেসি নামক ভেড়ার দুধে যে আলফা-১-এন্টিট্রিপসিন নামক প্রোটিন থাকে , তা
এমফিফাইসেমা এবং সিস্টিক ফাইব্রোসিস নামক দুরারোগ্য ও মারাত্ত্বক রোগ নিরাময় করে ।
ট্রান্সজেনিক ছাগল ইথেলের দুধে মানুষের এন্টিথ্রমবিন-থ্রি জীন থাকাতে এটি
হিমোফিলিয়া রোগ প্রতিহত সহ মানুষের স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সময় রক্তের জমাট
বাধাকে প্রতিহত করার জন্য ব্যবহার করা যাবে ।
No comments:
Post a Comment