Pearl
Culture
মুক্তা একটি মূল্যবান বস্তু।আধুনিক সমাজে
মুক্তা খুবই সমাদৃত।“পার্ল ওয়েস্টারের ম্যান্টল-গহবরে অবস্থিত ন্যাকার গ্রন্থি
থেকে ক্ষরিত পদার্থ কোন বহিরাগত বস্তুর চারিদিকে রিং-এর ন্যায় স্তরে স্তরে সঞ্চিত
যে উজ্জ্বল চকচকে বস্তু তৈরি করে তাকে মুক্তা বলে”।Pinctada margaritifera , Pinctada maxima,
Pinctada radiate, Pinctada
vulgaris, Pinctada fucata নামক ঝিনুক থেকে কৃত্রিম উপায়ে মক্তা চাষ
সম্ভব।যে কোন আয়তনের একটি পুকুর বা বিলেও ঝিনুক তথা মুক্তা চাষ করা যায়।মুক্তা চাষের
ধাপগুলো নিম্নে পর্যায়ক্রমে বর্ননা করা হলঃ
মুক্তা ঝিনুক সংগ্রহঃ মুক্তা ঝিনুক সংগ্রহের আদর্শ সময় গ্রীষ্মের সকাল থেকে দুপুর
পর্যন্ত।সাধারনত ডুবুরীরা মুক্তা-ঝিনুক সংগ্রহ করে থাকে।মুক্তা-ঝিনুক সংগ্রহের পর
বয়স অনুযায়ী বাছাই করে আলাদা করা হয়।
নিউক্লিয়াস প্রবিষ্টকরনঃ যে সব মুক্তা-ঝিনুকে নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানো হবে সেসব মুক্তা-ঝিনুককে
সমুদ্রের গভীর স্থানে ভেলা থেকে সংগ্রহ করে সমুদ্রের পানিতে মেনথল মিশিয়ে শ্বাসরোধ
প্রক্রিয়ায় সংজ্ঞাহীন করে গবেষনাগারে আনা হয়।যে বহিরাগত বস্তুর চারপাশে ন্যাকার
জমা হয়ে মুক্তা সৃষ্টি করবে তাকে নিউক্লিয়াস বলে।এই পদ্ধতিতে একটি ঝিনুকের
ম্যান্টেলের ক্ষুদ্র টুকরা অন্য একটি ঝিনুকের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। এই ক্ষেত্রে
গ্রাফট-টিস্যু ২-৭ মিলিমিটার হওয়াই বাঞ্চনীয়।অপারেশন টেবিলে একটি জীবন্ত ঝিনুককে
ক্লাস্পের সাহায্যে এমনভাবে আটকানো হয় যাতে ডান খোলকটি উপরের দিকে থাকে।ম্যানটেল পর্দাকে
উন্মুক্ত করে এপিথেলিয়াম টিস্যুর উপর একটি নালীকা সৃষ্টি করা হয়।এই নালীকা ঝিনুকের
আন্তর যন্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত।এই নালীকার মধ্য দিয়ে গ্রাফট-টিস্যু নির্বাচিত
স্থানে স্থাপন করা হয়।দ্বিতীয় আরেকটি নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠা করার জন্য বামদিক থেকে
অপারেশন করে জনন অঙ্গের নিকট গ্রাফট টিস্যু স্থাপন করা হয়।
মুক্তা চাষ অত্যন্ত লাভজনক
শিল্প।তত্ত্বগতভাবে ইহা একটি সহজ প্রক্রিয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে অনেক কঠিন সমস্যার
মোকাবেলা করতে হয়।ঝিনুকের দেহ থেকে মুক্তা সংগ্রহের পর সাবধানে সাবান-পানি দিয়ে
ধুয়ে মুছে বর্ন ও আকারের ভিত্তিতে আলাদা করে বাজারজাত করা হয়।
No comments:
Post a Comment