Pages

Monday 31 March 2014

Accommodation,Binocular Vision



              কিছু প্রয়োগ মূলক প্রশ্ন

উপযোজন কিভাবে সম্পন্ন হয়?

লেন্সের বক্রতার পরিবর্তন,চোখ দুটি পরস্পর সমকেন্দ্রীকরন ও পিউপিলের সংকোচন এ তিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযোজন সম্পন্ন হয়।অর্থা  যে পদ্ধতিতে কোন প্রানী স্থান ত্যগ না করে যে কোন দুরত্বে অবস্থিত বস্তুকে সমান ও স্পষ্ট দেখার জন্য চোখে বিশেষ ধরনের পরিবর্তন আনে,তখন ঐ প্রক্রিয়াকে উপযোজন বলে।অন্যভাবে বলা যায়-


সাধারনত চোখ থেকে ছয় মিটার দুরত্বে অবস্থিত কোন বস্তুর প্রতিবিম্ব  স্বাভাবিকভাবে রেটিনায় প্রতিফলিত বা ফোকাস হয়ে থাকে।তবে এ দুরত্ব কম বা বেশি হলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় ফোকাসের জন্য উপযোজনের প্রয়োজন।লেন্সের উত্তলতা কম-বেশি করে এবং পিউপিলের ব্যাস কম-বেশি করার মাধ্যমে দর্শন বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার উপর প্রতিফলন বা ফোকাস করার প্রক্রিয়ার নামই উপযোজন।মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রানীর উপযোজন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।



           দ্বিনেত্র দৃষ্টির সুবিধাগুলি কি কি?

মানুষের মাথার সামনে ৬.৩ সে.মি. দূরত্বে  চোখ দুটি অবস্থিত।ফলে কোন বস্তু দেখার সময় প্রতিটি চোখ বস্তুটির সাথে একটি করে প্রতিবিম্ব তৈরি করে।প্রতিবিম্ব দুটির একটি থেকে অন্যটি সামান্য কিছুটা আলাদা।উভয় উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরিত হয়।মস্তিষ্ক দুটি উদ্দীপনাকে সমন্বয় সাধন করে।ফলে বস্তিটির একটি এৈমাত্রিক চিত্র দেখা যায়।দু”চোখ দ্বারা একই বস্তুকে দেখার এই পদ্ধতিকে বাইনোকুলার বা স্টেরিওপিক বা দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে।দ্বিনেত্র দৃষ্টির সুবিধাগুলি হল-


১]দু’চোখের বীক্ষ্ণণক্ষেত্র একটি চোখের একক বীক্ষণক্ষেত্রের চেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়।
২]এক চোখে ত্রুটি থাকলে অন্য চোখ তা সংশোধন করে নিতে পারে।
৩]কোন বস্তুর আকৃতি,দূরত্ব ও গভীরতার সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়।


           মানুষ কি ভাবে কোন বস্তুকে সোজা দেখতে পায়?



আমরা যে বস্তুকে দেখি,আলোকিত সে বস্তু হতে আলোক রশ্মি কর্ণিয়া,অ্যাকুয়াস হিউমার,ভিট্রিয়াস হিউমার,পিউপিল ও লেন্স এর মধ্য দিয়ে রেটিনায় এসে পতিত।আপতিত এই আলোক রশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিসৃত হয়ে রেটিনার পীত বিন্দুর উপর অভিসারী রশ্মি রুপে প্রতিফলিত হয়।ফলে পীত বিন্দুতে বস্তুটির একটি সংক্ষিপ্ত ও উলটা প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয়।রেটিনায় সৃষ্ট প্রতিবিম্ব রেটিনার আলোক সংবেদী কোষকে উদ্দীপিত করে।আলোক সংবেদী কোষের এই অনুভূতি বাইপোলার কোষ,গ্যাংগ্লিওন কোষ এবং অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের অপটিক লোবের ভিসুয়াল কর্টেক্সে পৌছে।এই অঞ্চলের স্নায়ু অনুভূতি থেকে প্রাপ্ত তথ্য মস্তিষ্ক দ্বারা বিশ্লেষনের মাধ্যমে অজ্ঞাত এক উপায়ে পীত বিন্দুতে সৃষ্ট উলটা প্রতিবিম্বটি সোজা হয়ে যায়।ফলে মানুষ বস্তুটিকে সোজা দেখতে পায়।

Wednesday 26 March 2014

EYE





যে জ্ঞানেন্দ্রিয় বা সংবেদী অঙ্গ আলোক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বা আলোকের মাধ্যমে দৃষ্টি সঞ্চার করে তাকে চোখ বা দর্শনেন্দ্রিয় বলে।মানুষের চোখ দুটি মাথার দুপাশে বহিঃকর্ণ ও নাসারন্ধ্রের প্রায় মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত।নিন্মে চক্ষুর বিভিন্ন অংশগুলি আলোচিত হলঃ


চক্ষু পল্লবঃ

প্রতিটি চক্ষু একটি ঊর্ধব ও একটি নিম্ন পেশল পল্লব দ্বারা পরিবৃত থাকে।এরা নড়নক্ষম এদের বাইরের কিনারায় লোম থাকে।ধূলাবালি,তীব্র আলো,বাইরের আঘাত হতে রক্ষা করাই ইহার কাজ।

চক্ষুপেশীঃ

প্রতিটি চক্ষু ছয়টি পেশী দ্বারা চক্ষু কোটরে আটকানো থাকে।এগুলো হচ্ছে সুপিরিয়র রেকটাস,ইনফিরিয়র রেকটাস,সন্মুখ রেকটাস,পশ্চা  রেকটাস,সুপিরিয়র অবলিক এবং ইনফিরিয়র অবলিক পেশী।চক্ষুকে কোটরের মধ্যে স্ব-স্থানে ধরে রাখা এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করাই চক্ষুপেশীগুলির কাজ।


চক্ষুগ্রন্থিঃ

প্রতিটি চক্ষুতে অশ্রুগ্রন্থি,হার্ডেরিয়ান গ্রন্থি এবং মেবোমিয়ান গ্রন্থি নামে তিন ধরনের গ্রন্থি রয়েছে।অশ্রুগ্রন্থি হতে অশ্রু নামক একধরনের লবনাক্ত ও জীবাণুরোধক তরল নিসৃত হয় যা কনজাংটিভাকে নরম,সিক্ত,পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখে।অপরদিকে হার্ডেরিয়ান ও মেবোমিয়ান গ্রন্থির তৈলাক্ত নিঃসরন অক্ষিপল্লব ও কর্ণিয়াকে পিচ্ছিল রাখে।

অক্ষিকোটরঃ

করোটির সন্মুখ প্রান্তে ক্ষীন প্রাচীর নির্মিত যে দুটি কোটর থাকে তাকে অক্ষিকোটর বলে।এতে দুটি অক্ষিগোলক থাকে।অক্ষিগোলককে সুরক্ষিত রাখা অক্ষিকোটরের কাজ।

অক্ষিগোলকঃ

এটি চক্ষুর প্রধান অংশ।এর ছয় ভাগের এক অংশ বাইরে এবং ছয় ভাগের পাচ অংশ ভেতরে থাকে।এর প্রাচীর তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত।

১]স্ক্লেরাঃ

এটি অক্ষিগোলকের বাইরের প্রাচীর,যা পুরু,শক্ত,অস্বচ্ছ এবং তন্তুময় যোজক কলা ও তরুনাস্থি দ্বারা গঠিত।এটি চক্ষু গোলকের আকার দান করে এবং ভিতরের অঙ্গসমূহকে রক্ষা করে।স্ক্লেরার সাথে সংযুক্ত অবস্থায় কর্ণিয়া এবং কর্ণিয়ার বাইরের দিকে থাকে কনজাংটিভা।

কর্ণিয়া সাধারনত স্বচ্ছ ও সামান্য উদগত যা চক্ষু গোলকের অগ্রভাগকে আবৃত করে রাখে।অপরদিকে কনজাংটিভা স্বচ্ছ ও পাতলা এবং এটি মূলত চক্ষুপল্লবের ভিতরের পর্দার প্রসারিত অংশ।কর্ণিয়াকে বাইরের ধূলা-বালির হাত হতে রক্ষা করাই কনজাংটিভার কাজ।

২]কোরয়ডঃ

এটি স্ক্লেরা স্তরের নীচে অবস্থিত।এটি কৈশিক জালিকাসমৃদ্ধ যোজক কলা এবং কালবর্নের রঞ্জক কোষ সমন্বয়ে গিঠিত।এটি অক্ষিগোলকের পশ্চা  ভাগ হতে স্ক্লেরা ও কর্ণিয়ার সংযোগস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত।এর কর্ণিয়া সংলগ্ন প্রান্তের সাথে আইরিস ও সিলিয়ারী প্রসেস নামক দুটি অংশ থাকে।আলোক রশ্মি প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করে তীব্র আলোক রশ্মির আঘাত হতে অক্ষিগোলককে রক্ষা করাই কোরয়ডের কাজ।

আইরিস মূলত কোরয়ডের রুপান্তরিত অংশ।এটি অস্বচ্ছ,রঞ্জিত এবং থালার মত।এটি লেন্সের উপর ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে।আইরিসের দেহ সংকোচন ও প্রসারনক্ষম বৃত্তাকার ও অরীয় পেশী দ্বারা গঠিত।এর কেন্দ্রের দিকে আলো প্রবেশকারী পিউপিল অবস্থিত।পিউপিলকে ছোট-বড় করে পিউপিলের মধ্য দিয়ে চক্ষুগোলকের ভেতরে আলোকের প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করাই আইরিসের কাজ।

অপরদিকে সিলিয়ারী প্রসেসও কোরয়ডের আরেকটি রুপান্তরিত অংশ।এটি আইরিসের পাদদেশে অবস্থিত।এর ভেতরের দিকে সিলিয়াযুক্ত পেশী ও বাইরের দিকে লেন্স সংযোগকারী সাস্পেন্সরী লিগামেন্ট সহ সিলিয়ারী বডি অবস্থিত।সিলিয়ারী প্রসেসের সংকোচন ও প্রসারনের মাধ্যমে লেন্সের বক্রতা বাড়ানো ও কমানো নিয়ন্ত্রিত হয়।

৩]রেটিনাঃ

এটি সবচেয়ে ভিতরের স্তর,যা অক্ষিগোলকের পশ্চা ভাগ হতে প্রায় সিলিয়ারী প্রসেস পর্যন্ত বিস্তৃত।এটি আলোক সংবেদী স্তর।এতে দু ধরনের আলোক সংবেদী স্তর রড কোষ ও কোন্ কোষ থাকে।রডকোষগুলো লম্বাটে ও রডপসিন নামক প্রোটিনযুক্ত এবং মৃদু আলোকে দেখার জন্য দায়ী।কোন্ কোষগুলো কোনাকৃতি ও আয়োডপসিন নামক প্রোটিন যুক্ত এবং উজ্জ্বল আলো ও প্রাথমিক বর্ণ সংবেদী।এটি স্নায়ুকোষ ও স্নায়ু তন্তু সমৃদ্ধ।এর অন্তঃপৃষ্ঠে অন্ধবিন্দু ও পীতবিন্দু অবস্থিত।রড ও কোন্ কোষগুলো বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরিতে সাহায্য করে।

অন্ধবিন্দু রেটিনার পশ্চা ভাগের অন্তঃপৃষ্ঠে অবস্থিত।এর ভেতর দিয়ে অপটিক স্নায়ু রেটিনাতে প্রবেশ করে।উল্লেখ্য যে অন্ধবিন্দুতে রড ও কোন্ কোষ অনুপস্থিত।

অপরদিকে পীতবিন্দু পিউপিলের বিপরীতে অন্ধবিন্দুর সন্নিকটে অবস্থিত।এটি অত্যন্ত অনুভূতিশীল এবং দেখতে অবতল গর্তের মত।এর অবতল অংশের কেন্দ্রে ‘ফোভিয়া সেন্ট্রাসিল’ অবস্থিত।এটি দর্শনীয় বস্তুর প্রতিবিম্ব ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

লেন্সঃ

চক্ষুগোলকে একটি মাত্র লেন্স থাকে।এটি স্বচ্ছ,দ্বি-উত্তল ও ডিম্বাকার।এটি সাস্পেনসরী লিগামেন্ট দ্বারা আইরিশের পশ্চাতে অক্ষিগোলকের গহবরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে।উপযোজনে সয়তা করা ইহার কাজ।

প্রকোষ্ঠঃ

অক্ষিগোলকের অভ্যন্তরে লেন্সের বাইরের দিকে অ্যাকুয়াস হিউমার যুক্ত একটি প্রকোষ্ঠ এবং ভেতরের দিকে ভিট্রিয়াস হিউমার পূর্ণ অন্য আরও একটি প্রকোষ্ঠ থাকে।এরা যথাক্রমে অ্যাকুয়াস ও ভিট্রিয়াস প্রকোষ্ঠ নামে পরিচিত।অ্যাকুয়াস হিউমার আলো প্রবেশে সহায়তা করে এবং ভিট্রিয়াস হিউমার চক্ষু গোলকের আকার বজায় রাখতে সহায়তা করে।

Inner ear



                                                অন্তঃকর্ণ

মধ্যকর্ণের পরপবর্তী অংশকে অন্তঃকর্ণ বলে।অন্তঃকর্ণ করোটির অডিটরী ক্যাপসূল বা কর্ণ কোটরের মধ্যে অবস্থান করে।এই ক্যাপসূলের মধ্যে একটি থলিকাকার অদ্ভূত দর্শন অঙ্গ থাকে যা ক্ষুদ্রাকার ও পর্দা বেষ্টিত।এই অঙ্গকে মেমব্রেনাস ল্যাবারিন্থ বলে।তবে সাধারন অর্থে অন্তঃকর্ণ বলতে ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থকেও বুঝায়। সংযোজক কলা দ্বারা গঠিত একটি ফিতার সাহায্যে ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ অডিটরী ক্যাপসূলের প্রাচীরের সাথে যুক্ত থাকে।ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ দুটি প্রধান প্রকোষ্ঠে বিভক্তঃ




১]ইউট্রিকুলাসঃ

এটি অন্তঃকর্ণের উপরের দিকের একটি গোলাকার প্রকোষ্ঠ।ইহার উপর দিক থেকে তিনটি অর্ধ-বৃত্তাকার নালী বের হয়ে আবার ইউট্রিকুলাসেই উন্মুক্ত হয়।এডের মধ্যে দুটি নালী উলম্বভাবে এবং একটি নালী আনুভুমিকভাবে অবস্থিত।নালী তিনটি পরস্পরের সাথে সমকোনে অবস্থিত।নালীগুলি ইউট্রিকুলাসে উন্মুক্ত হওয়ার প্রান্তে স্ফীত হয়ে যায়।এই সকল স্ফীত অংশকে অ্যাম্পুলা বলে।অর্ধবৃত্তাকার নালীগুলোর ভিতরের গায়ে এক ধরনের স্পর্শ সংবেদী রোম থাকে।

২]স্যাকুলাসঃ

ইউট্রিকুলাসের নিচের প্রকোষ্ঠটিকে স্যাকুলার বলে।ইউট্রিকুলার স্যাকুলার নালী নামে একটি ক্ষুদ্র নালীর সাহায্যে ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস পরস্পর যুক্ত থাকে।এছাড়া ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ থেকে এন্ডোলিম্ফেটিক ডাক্ট নামে আরও একটি সরু নালী বের হয়।স্যাকুলাসের নিচের দিকে বা অঙ্কীয় দিক থেকে একটি নালী বের হয় যা বিশেষভাবে পেচিয়ে ও রুপান্তরিত হয়ে শামুকের খোলকের মত আকৃতি বিশিষ্ট একটি প্যাচানো অঙ্গে পরিনত হয় এবং ইহা ককলিয়া নামে পরিচিত।

ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থের ভিতর এন্ডোলিম্ফ নামক তরলে পূর্ণ থাকে।এই তরলের মধ্যে অটোলিথ নামে এক ধরনের দানা থাকে।এসব দানা ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্বারা গঠিত।সম্পূর্ন ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থটি অস্থি দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি ফাকা স্থানে অবস্থান করে।এই ফাকা স্থানকে অস্থিময় ল্যারিন্থ বলে।এই অস্থিময় ল্যারিন্থ পেরিলিম্ফ নামক তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে।

ইউট্রিকুলাস,স্যাকুলাস ও অর্ধবৃত্তাকার নালীগুলো দেহের ভারসাম্য রক্ষা এবং স্যাকুলাস ও ককলিয়া শ্রবন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

Tuesday 25 March 2014

EAR BALANCE



                মানুষের শ্রবণ ও ভারসাম্য রক্ষার কৌশল





শ্রবণ কৌশল
 

 


                          
                        
                                       


 
                                                               




  প্রথমে শব্দ তরঙ্গ মানুষের কর্ণের কর্ণছত্র কতৃক গৃহীত হয়।সংগৃহীত এই শব্দতরঙ্গ কর্ণকুহরের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়ে কর্ণপটহ বা টিমপেনিক ম্যামব্রেনকে আঘাত করে,ফলে টিমপেনিক পর্দা কেপে ওঠে।এই কম্পনে মধ্য কর্ণে অবস্থিত ম্যালিয়াস,ইনকাস ও স্টেপিস আন্দোলিত হয়।এর ফলে প্রথমে ফেনেস্ট্রাওভালিসের পর্দা এবং পরে অন্তঃকর্ণের ককলিয়ার পেরিলিম্ফে কম্পন সৃষ্টি হয়।প্যারিলিম্ফ দ্বারা উক্ত কম্পন পরিবাহিত হয়ে অর্গান অব কর্টিতে প্রবেশ করে।কম্পনের আঘাতে অর্গান অব কর্টির রোমশ কোষগুলো উদ্দীপিত হয়ে স্নায়ু আবেগের সৃষ্টি করে।এই আবেগ অডিটরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে গমন করে এবং সব শেষে মস্তিষ্ক দ্বারা বিশ্লেষনে শব্দ ও শব্দের প্রকৃতি বুঝা যায়।

ভারসাম্য


মানুষের অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালীসমূহ ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস [ ককলিয়া ব্যাতীত] ভারসাম্য সংবেদী গঠন করে। ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাসে ম্যাকুলা নামক কতগুলো কোষগুচ্ছ থাকে।ম্যাকুলাতে সংবেদী রোম এবং অটোলিথ নামক ক্যালসিয়াম-কার্বনেট গঠিত চূর্ণকময় দানা এন্ডোলিম্ফে ভাসমান অবস্থায় থাকে।যদি মাথা কোন একদিকে কাত হয়ে যায় তবে অটোলিথসমূহ ম্যাকুলার রোমগুলোকে উত্তেজিত করে এবং রোমগুলো সেই দিকে বেকে যায়,ফলে একপ্রকার উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় যা যথাক্রমে ভেস্টিবুলার স্নায়ু ও অডিটরী স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছে।তখন মস্তিষ্কের নির্দেশে প্রয়োজনীয় পেশীর সংকোচনের দ্বারা মাথা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।এভাবে মানুষ মাথা ও দেহ যে কোন দিকে বাকালেই মস্তিষ্কের যথার্থ নির্দেশের মাধ্যমে দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে।