Pages

Wednesday 12 March 2014

placenta



অমরা


১৬৫৯ সালে উইলিয়াম হার্ভে সর্বপ্রথম অমরা আবিস্কার করেন।বিশিষ্ট ভ্রুন বিজ্ঞানী বালিনস্কি এর মতে-মায়ের শরীর থেকে ভ্রুনে পুষ্টি সরবরাহের জন্য সন্মিলিতভাবে মাতৃকলা ও ভ্রুনকলায় গঠিত যে কোন অঙ্গকে অমরা বলে।
অন্য ভাবে বলা যায়-ভ্রুণ কলা ও জড়ায়ুর মাতৃকলার সমন্বয়ে সৃষ্ট পুরু গোলাকার থালা আকৃতির স্পঞ্জের মত বিশেষ অঙ্গকে অমরা বা প্লাসেন্টা বলে।স্তন্যপায়ী ছাড়া অন্যান্য প্রানীগোষ্ঠীতে অমরা দেখা গেলেও প্রকৃত অমরা একমাত্র স্তন্যপায়ীতেই পাওয়া যায়।অমরার মাধ্যমে মা থেকে ভ্রুণে ও ভ্রুণ থেকে মায়ে বিভিন্ন বস্তুর আদান প্রদান যে ভাবে হয়ে থাকে তা নিন্মে বর্নিত হলঃ

মা থেকে বিভিন্ন বস্তুর ভ্রুণে প্রবেশঃমাতৃদেহের রক্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান যেমন-অ্যামাইনো অ্যাসিড,গ্লুকুজ,খনিজ লবন,লিপিড,ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারল,ভিটামিন,অক্সিজেন, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন,অ্যান্টিবডি,জীবানু ও ভাইরাস ইত্যাদি অমরার মাধ্যমে ভ্রুণের রক্তে প্রবেশ করে।

ভ্রুণ থেকে বিভিন্ন উপাদানের মায়ের দেহে প্রবেশঃভ্রুণ দেহে সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড,বিপাকীয় কাজে সৃষ্ট নাইট্রোজেন গিঠিত বর্জ্য যেমন-ইউরিয়া,ইউরিক অ্যাসিড প্রভৃতি অমরার মাধ্যমে ব্যাপীত হয়ে মায়ের দেহে প্রবেশ করে।

প্লাসেন্টার কার্যাবলিঃ

গর্ভধারনকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন করে।
ভ্রুণকে মায়ের জরায়ুর সাথে আটকে রাখে।
মায়ের দেহ হতে রক্তের মাধ্যমে ভ্রুণের দেহে পুষ্টি নিশ্চিত করে।
ভ্রুণের দেহের সকল কলা অমরার সাহায্যে অক্সিজেন গ্রহন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে।
ভ্রুনের দেহে সৃষ্ট রেচন পদার্থ অমরার মাধ্যমে মায়ের দেহে চলে আসে।
ভ্রুণকে সকল প্রকার আঘাত হতে রক্ষা করে।
গর্ভকালে ভ্রুনের পুষ্টি বৃদ্ধি ও মায়ের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

No comments:

Post a Comment