উৎপাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে খাদকদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক
থাকে।যে পদ্ধতিতে খাদ্যশক্তি উৎপাদক থেকে ক্রমপর্যায়ে ভক্ষক ও ভক্ষিত সম্পর্কে
বিভিন্ন প্রানীগোষ্ঠীর মধ্যে প্রবাহিত হয়, সে শক্তি-প্রবাহের ক্রমিক পর্যায়কে
খাদ্য-শৃংখল
বলে।সজীব সদস্যদের প্রকৃতি অনুসারে খাদ্য-শৃংখল তিন প্রকার হতে পারে—
১]পরভোজী শৃংখলঃযে খদ্য-শৃংখল উদ্ভিদ থেকে
শুরু করে ক্রম পর্যায়ে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ জীবে চালিত হয় তাকে পরভোজী খাদ্য-শৃংখল
বলে।উদ্ভিদ থেকে ক্রমে ক্রমে বড় প্রানীর মধ্যে এ শৃংখলটি গড়ে উঠে।যেমনঃহরিন ঘাস
খায়,বাঘ হরিন খায়।ঘাস – হরিন – বাঘ।এটি একটি পরভোজী শৃংখল।
২]পরজীবী শৃংখলঃবড় জীব থেকে ক্রমান্বয়ে ছোট
জীবের মধ্যে যে খাদ্য-শৃংখল গড়ে ওঠে তাকে পরজীবী শৃংখল বলে।পরজীবীরা বিভিন্ন জীবের
কোষ থেকে খাদ্য গ্রহন করে।যেমনঃম্যালেরিয়া রোগ জীবানু বহনকারী মশা মানুষকে দংশন
করলে রোগ ছড়ায়।মানুষের রক্ত—মশা।এটি একটি পরজীবী শৃংখল।
৩]মৃতিজীবী শৃংখলঃযে খাদ্য-শৃংখল মৃতদেহ
থেকে শুরু করে জীবানু ব্যাকটেরিয়া,ছত্রাকের দিকে চালিত হয় তাকে মৃতজীবী শৃংখল
বলে।উদ্ভিদ ও প্রানীর মৃতদেহের সঙ্গে বিভিন্ন অনুজীব এবং প্রানীর মধ্যে এ শৃংখলটি
গড়ে উঠে।এ শৃংখলের মৃতজীবী জীবগুলো মৃতদেহ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে।যেমনঃমৃতদেহ—ব্যাকটেরিয়া,ছত্রাক,কেচো।
একটি বাস্তুতন্রের উদ্ভিদ ও প্রানীগোষ্ঠী
তাদের পুষ্টির চাহিদার দিক থেকে ধারাবাহিক ভাবে সংযুক্ত।সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষনের
মাধ্যমে সূর্যের আলোক শক্তিকে খাদ্যশক্তি রূপে জমা করে।যখন একটি প্রানী উদ্ভিদ
খায়,শক্তির অধিকাংশই তখন তাপশক্তি রূপে মুক্ত হয়।পুনরায় সেই প্রানীকে যখন অন্য
একটি প্রানী ভক্ষন করে-অনুরূপ ভাবে কিছু শক্তি তাপ হিসাবে ব্যয়িত হয় এবং বাকিটা
ভক্ষকের দেহগঠনে অংশ নেয়।ফলে জীব সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সদস্যদের মাধ্যমে শক্তির
একমুখী প্রবাহ ও পদার্থের সংবহন চলে এবং একটি খাদ্য-শৃংখল গড়ে উঠে।
No comments:
Post a Comment