Pages

Friday, 14 March 2014

Plasmid



                                                                                প্লাজমিড
ব্রিটিশ বংশগতিবিদ যশুরা লেডারবার্গ সর্বপ্রথম ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে পরিপদটি ব্যবহার করেন।প্লাজমিড হল স্বপ্রজননক্ষম ও বহিঃক্রোমোজোমীয় বৃত্তাকার দ্বৈত ডিএনএ অনু।এদের সংখ্যা ব্যাকক্টেরিয়া কোষ, ঈস্ট বা ইউক্যারিওটিক কোষের অঙ্গানুর ভেতরে নির্দিষ্ট থাকে।কোষপ্রতি এদের সংখ্যা ১-১০০০ হয়ে থাকে।এদের যথাক্রমে একক কপি ও বহু কপি প্লাজমিড বলে।বহু কপি প্লাজমিডকে ক্লোনিং বাহক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।রি-কম্বিনেট ডিএনএ তৈরিতে বাহক হিসাবে প্রথমেই প্লাজমিডের কথা মনে পরে।এর মাধ্যমে বহিরাগত ডিএনএ কে পোষক দেহে প্রেরন ও বহু গুননের সাহায্যে ভ্যাকসিন, হরমোন উ পাদন সহ নানা রকম জৈবনিক কাজকর্ম করানো হয়।


জিন প্রকৌশলবিদ্যায় প্লাজমিডের গুরুত্ব অপরিসীম।প্লাজমিড ব্যাকটেরিয়া বা পোষকের জিনোমে প্রশমিত দশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।বেশ কয়েকটি প্লাজমিড বা এপিজোম হচ্ছে R- ফ্যাক্টর এবং col- ফ্যাক্টর প্লাজমিড এবং F+ এজেন্ট এবং লামডা ব্যাক্টেরিও ফাজ।এপিজোম ও প্লাজমিড উভয়ই পোষকের জিনোমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।ব্যাক্টেরিও ফাজ পোষক দেহে বংশবৃদ্ধি করে  এবং শেষ পর্যন্ত পোষক দেহকে ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে।কিন্তু প্লাজমিডের ক্ষেত্রে সেরুপ কিছু ঘটে না।R- ফ্যাক্টর ও অন্যান্য প্লাজমিডে মূলত থাকে ট্রান্সফার ও রেপ্লিকেশন কার্য সমাধার জন্য অপরিহার্য জিনসমুহ।এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জৈবনাশক জিনও থাকে।সুতরাং সর্বসাকুল্যে এদের জিনোমকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-

১]ট্রান্সফার ফ্যাক্টর ধারক ও

২]প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রক ধারক।

এদের প্লাজমি না থাকা অবস্থায়ও কোষের কোন কিছু যায় আসে না।পোষক দেহের কোষকে উচ্চতাপে জন্মিয়ে থাইমিন থেকে বঞ্চিত করে অথবা এক্রিডিন রঞ্জক প্রয়োগে প্লাজমিড মুক্ত করা হয়।

প্লাজমিড স্বাধীনভাবে পোষকদেহের সাইটোপ্লাজমে এবং পোষকের জিনোমে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতে পারে।পোষকের জিনোমে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্লাজমিডের নিয়ন্ত্রনকারী বিশেষ জিন এর উপস্থিতির প্রয়োজন হয়।আর অন্তর্ভুক্তি পর্বের এ দশাকে প্রশমিত দশা বলে।এ দশাতেই প্লাজমিড পোষকের জিনোমে অন্তর্ভুক্ত হবার সুযোগ লাভ করে।তারপর পোষকের ক্রোমোজোম থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্লাজমিড পোষকের জিনোম থেকে এক বা একাধিক জীন সঙ্গে করে নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে এবং উক্ত জিনকে আবার অন্যকোন পোষোকের জিনোমেও সংযুক্ত করে দিতে পারে।এভাবে প্লাজমিড একই প্রজাতির এক স্ট্রেইনে শুধু নয়,এক প্রজাতির জিন অন্য প্রজাতির জিনোমে স্থানান্তর করতে পারে।

প্লাজমিড প্রকৃত কোষের ডিএনএ অপেক্ষা অনেক ক্ষুদ্রাকার।এতে জীনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।দ্রুত বিভাজনক্ষম বলে এর জীন দ্রুত পরবর্তী জনুতে সঞ্চারিত হয়ে থাকে।এর জীনগুলো ব্যাকটেরিয়াকে বেচে থাকতে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে।তবে সাধারনত মানুষের অন্ত্রে পরজীবী হিসাবে বসবাসকারী E.coli নামক ব্যকটেরিয়াই এখন পর্যন্ত বহুল ব্যবহূত প্লাজপমিড।

বর্তমানে প্লাজমিড বপংশগতি প্রকৌশলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন উপাদান।কারন প্লাজমিড জননের মাধ্যমে আন্তপঃপ্প্রজাতির জীন স্থানান্তরে একমাত্র অল্পঙ্ঘনীয় প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রমকারী উপযোগী উপাদান।রিকম্বিনেট ডিএনএ কে পোষক দেহে প্রেরন,বিশুদ্ধ মানব ইনসুলিন তৈরি ও জৈব প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ন ও মৌ্লিক হাতিয়ার বলা হয়।

No comments:

Post a Comment