অন্তঃকর্ণ
মধ্যকর্ণের পরপবর্তী অংশকে অন্তঃকর্ণ বলে।অন্তঃকর্ণ করোটির অডিটরী ক্যাপসূল
বা কর্ণ কোটরের মধ্যে অবস্থান করে।এই ক্যাপসূলের মধ্যে একটি থলিকাকার অদ্ভূত দর্শন
অঙ্গ থাকে যা ক্ষুদ্রাকার ও পর্দা বেষ্টিত।এই অঙ্গকে মেমব্রেনাস ল্যাবারিন্থ
বলে।তবে সাধারন অর্থে অন্তঃকর্ণ বলতে ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থকেও বুঝায়। সংযোজক
কলা দ্বারা গঠিত একটি ফিতার সাহায্যে ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ অডিটরী ক্যাপসূলের
প্রাচীরের সাথে যুক্ত থাকে।ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ দুটি প্রধান প্রকোষ্ঠে
বিভক্তঃ
১]ইউট্রিকুলাসঃ
এটি অন্তঃকর্ণের উপরের দিকের একটি গোলাকার প্রকোষ্ঠ।ইহার উপর দিক থেকে
তিনটি অর্ধ-বৃত্তাকার নালী বের হয়ে আবার ইউট্রিকুলাসেই উন্মুক্ত হয়।এডের মধ্যে
দুটি নালী উলম্বভাবে এবং একটি নালী আনুভুমিকভাবে অবস্থিত।নালী তিনটি পরস্পরের সাথে
সমকোনে অবস্থিত।নালীগুলি ইউট্রিকুলাসে উন্মুক্ত হওয়ার প্রান্তে স্ফীত হয়ে যায়।এই
সকল স্ফীত অংশকে অ্যাম্পুলা বলে।অর্ধবৃত্তাকার নালীগুলোর ভিতরের গায়ে এক ধরনের
স্পর্শ সংবেদী রোম থাকে।
২]স্যাকুলাসঃ
ইউট্রিকুলাসের নিচের প্রকোষ্ঠটিকে স্যাকুলার বলে।ইউট্রিকুলার স্যাকুলার
নালী নামে একটি ক্ষুদ্র নালীর সাহায্যে ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস পরস্পর যুক্ত
থাকে।এছাড়া ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থ থেকে এন্ডোলিম্ফেটিক ডাক্ট নামে আরও একটি সরু
নালী বের হয়।স্যাকুলাসের নিচের দিকে বা অঙ্কীয় দিক থেকে একটি নালী বের হয় যা
বিশেষভাবে পেচিয়ে ও রুপান্তরিত হয়ে শামুকের খোলকের মত আকৃতি বিশিষ্ট একটি প্যাচানো
অঙ্গে পরিনত হয় এবং ইহা ককলিয়া নামে পরিচিত।
ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থের ভিতর এন্ডোলিম্ফ নামক তরলে পূর্ণ থাকে।এই তরলের
মধ্যে অটোলিথ নামে এক ধরনের দানা থাকে।এসব দানা ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্বারা
গঠিত।সম্পূর্ন ম্যামব্রেনাস ল্যাবারিন্থটি অস্থি দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি ফাকা
স্থানে অবস্থান করে।এই ফাকা স্থানকে অস্থিময় ল্যারিন্থ বলে।এই অস্থিময় ল্যারিন্থ
পেরিলিম্ফ নামক তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে।
ইউট্রিকুলাস,স্যাকুলাস ও অর্ধবৃত্তাকার নালীগুলো দেহের ভারসাম্য রক্ষা এবং
স্যাকুলাস ও ককলিয়া শ্রবন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
No comments:
Post a Comment