Pages

Tuesday 25 March 2014

EAR BALANCE



                মানুষের শ্রবণ ও ভারসাম্য রক্ষার কৌশল





শ্রবণ কৌশল
 

 


                          
                        
                                       


 
                                                               




  প্রথমে শব্দ তরঙ্গ মানুষের কর্ণের কর্ণছত্র কতৃক গৃহীত হয়।সংগৃহীত এই শব্দতরঙ্গ কর্ণকুহরের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়ে কর্ণপটহ বা টিমপেনিক ম্যামব্রেনকে আঘাত করে,ফলে টিমপেনিক পর্দা কেপে ওঠে।এই কম্পনে মধ্য কর্ণে অবস্থিত ম্যালিয়াস,ইনকাস ও স্টেপিস আন্দোলিত হয়।এর ফলে প্রথমে ফেনেস্ট্রাওভালিসের পর্দা এবং পরে অন্তঃকর্ণের ককলিয়ার পেরিলিম্ফে কম্পন সৃষ্টি হয়।প্যারিলিম্ফ দ্বারা উক্ত কম্পন পরিবাহিত হয়ে অর্গান অব কর্টিতে প্রবেশ করে।কম্পনের আঘাতে অর্গান অব কর্টির রোমশ কোষগুলো উদ্দীপিত হয়ে স্নায়ু আবেগের সৃষ্টি করে।এই আবেগ অডিটরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে গমন করে এবং সব শেষে মস্তিষ্ক দ্বারা বিশ্লেষনে শব্দ ও শব্দের প্রকৃতি বুঝা যায়।

ভারসাম্য


মানুষের অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালীসমূহ ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস [ ককলিয়া ব্যাতীত] ভারসাম্য সংবেদী গঠন করে। ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাসে ম্যাকুলা নামক কতগুলো কোষগুচ্ছ থাকে।ম্যাকুলাতে সংবেদী রোম এবং অটোলিথ নামক ক্যালসিয়াম-কার্বনেট গঠিত চূর্ণকময় দানা এন্ডোলিম্ফে ভাসমান অবস্থায় থাকে।যদি মাথা কোন একদিকে কাত হয়ে যায় তবে অটোলিথসমূহ ম্যাকুলার রোমগুলোকে উত্তেজিত করে এবং রোমগুলো সেই দিকে বেকে যায়,ফলে একপ্রকার উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় যা যথাক্রমে ভেস্টিবুলার স্নায়ু ও অডিটরী স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছে।তখন মস্তিষ্কের নির্দেশে প্রয়োজনীয় পেশীর সংকোচনের দ্বারা মাথা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।এভাবে মানুষ মাথা ও দেহ যে কোন দিকে বাকালেই মস্তিষ্কের যথার্থ নির্দেশের মাধ্যমে দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে।

No comments:

Post a Comment